তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইসির সাম্প্রতিক সৌজন্য সাক্ষাতের দিনই তার হাসপাতালে যাওয়ার নির্ধারিত সময়সূচি ছিল।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে আমি অসুস্থ ছিলাম। পদত্যাগের যে গুঞ্জন উঠেছে, তা সঠিক নয়। এটি ছিল শুধুই সৌজন্য সাক্ষাৎ। এতে কোনো এজেন্ডাভিত্তিক আলোচনা হয়নি। প্রধান উপদেষ্টা একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে যথেষ্ট আন্তরিক।’
তিনি আরও জানান, ইসি এখন পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারণ, প্রধান উপদেষ্টা কোথাও স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনার ইঙ্গিত দেননি।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কমিশন পুনর্গঠনের দাবির বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে সিইসি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। রাজনৈতিক দল হিসেবে যে কেউ তাদের দাবি তুলে ধরতে পারে। আমরা শুনেছি। তবে মনে রাখতে হবে, আমরা তো জুলাই বিপ্লবের ফসল।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে ইসি সব সময় প্রস্তুত থাকে। রাজনীতিকরা দিনশেষে দেশের মঙ্গল চায়, এমনটাই আমাদের বিশ্বাস। আশা করি, তারা সব কিছু বিবেচনায় নিয়েই মন্তব্য করবেন।’
সিইসি তার বক্তব্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া, কমিশনের নিরপেক্ষতা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকার ওপরও আলোকপাত করেন। তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন, ইসি নির্বাচন আয়োজনের জন্য সাংবিধানিকভাবে দায়বদ্ধ এবং সেই প্রস্তুতি অনুযায়ীই এগোচ্ছে।