মতবিনিময় সভায় পোশাক শিল্পের সার্বিক কার্যক্রম সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করার স্বার্থে সুষ্ঠু আইন-শৃঙ্খলা ও পোশাকখাতে স্থিতিশীল শ্রম পরিবেশ বজায় রাখার বিষয়ে শ্রমিক ফেডারেশনগুলোর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। বিশেষ করে, কারখানাগুলোতে যাতে করে আইন-বহির্ভূত দাবী ও তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে শ্রমিকরা রাস্তা যেন আশেপাশের কারখানাগুলো ভাংচুর না করে অথবা দাবী আদায়ের নামে রাস্তা অবরোধ করে সাধারণ মানুষদের জন্য ভোগান্তি বয়ে না আনে, সে ব্যাপারে বিজিএমইএয়ের পক্ষ থেকে শ্রমিক ফেডারেশনগুলোর নেতৃবৃন্দকে সহযোগিতা প্রদানের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। উপস্থিত শ্রমিক নেতারা বলেন, শিল্পে শ্রম অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি কাম্য নয়। নেতারা কারখানার সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে কারখানার অভ্যন্তরেই সমাধান করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। শ্রমিক নেতৃবৃন্দ শ্রমিকদের আইনসঙ্গত দাবীগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধানে বিজিএমইএয়ের বর্তমান বোর্ডের উদ্যোগ-গাজীপুর, আশুলিয়া, সাভার, মিরপুর ও নারায়নগঞ্জে বিজিএমইএ এর আঞ্চলিক অভিযোগ নিষ্পত্তি সেল স্থাপনের উদ্যোগকেও স্বাগত জানান। সভায় বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান শ্রমিক ভাইবোনদের জন্য উপরোক্ত গার্মেন্টস অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে শ্রমিক ভাইবোনদের জন্য হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার বিষয়ে বিজিএমইএয়ের বর্তমান বোর্ডের উদ্যোগ তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘যে এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই জমি বরাদ্দ চেয়ে বিজিএমইএ থেকে সরকারের সংশিষ্ট দপ্তরে চিঠি দেয়া হয়েছে এবং জমি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিজিএমইএ তাৎক্ষনিকভাবে হাসপাতাল নির্মানের কাজ শুরু করবে।’ বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন, ‘পোশাক শিল্পের কর্মরত শ্রমিক ভাইবোনদের জীবন স্বাচ্ছন্দ্যময় করার জন্য তাদের জন্য ফুড রেশনিং ব্যবস্থা নিয়েও তার বোর্ড খুব শীঘ্রই কাজ শুরু করবে। এ ব্যাপারে বিজিএমইএ সভাপতি শ্রমিক ফেডারেশনগুলোকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা দেয়ার জন্য অনুরোধ জানালে ফেডাশেনগুলোর নেতারা এতে ইতিবাচক সাড়া দেন।’ মতবিনিময় সভায় শ্রমিকদের ডাটাবেস তৈরির প্রয়োজনীয়তা নিয়েও আলোচনা হয়। বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসানবলেন, ‘ফুড রেশনিং কার্ড বাস্তবায়নের মতো শ্রমিকদের কল্যান ইস্যুগুলোতে কাজ করার জন্য ডাটাবেস তৈরি করা অপরিহার্য। তিনি এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।’ সভায় উভয় পক্ষ পোশাকশিল্পে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করার বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে অঙ্গীকার করেছেন।