মাইলস্টোনে নিহত দুই শিক্ষককে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেয়ার সিদ্ধান্ত

শিক্ষক মাহরিন চৌধুরী ও মাসুকা বেগম
শিক্ষক মাহরিন চৌধুরী ও মাসুকা বেগম | ছবি: সংগৃহীত
0

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ ঘটনায় স্কুলের নিহত দু'জন শিক্ষক মাহরিন চৌধুরী ও মাসুকা বেগমকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সম্মাননার বিস্তারিত অতি দ্রুত নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

আজ (বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার এবং আহতদের সহায়তার লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করবে।

বৈঠকের শুরুতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। তাদের আত্মার প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

এছাড়া উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে স্কুলের নিহত দুজন শিক্ষককে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই সম্মাননার বিস্তারিত অতিদ্রুত নির্ধারণ করা হবে।

নিহতদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করে আগামীকাল সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ধর্ম মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সমন্বয় করবে।

আরও পড়ুন:

এর আগে সোমবার (২১ জুলাই) যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার সময় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ক্লাস নিচ্ছিলেন মাসুকা বেগম। ইংরেজি মাধ্যমের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন তিনি। দুর্ঘটনায় তার শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে তাকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়। পরে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে মৃত্যু হয় তার।

একই কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ২০ জন শিক্ষার্থীকে বাঁচিয়ে চিরবিদায় নেন বাংলামিডিয়াম শাখার শিক্ষিকা মাহরিন চৌধুরী। সোমবার দুপুরে মর্মান্তিক সে দুর্ঘটনায় দগ্ধ হন মাহরিন।

আরও পড়ুন:

নিজের জীবন বাজি রেখে শিক্ষার্থীদের ভবন থেকে বের করে আনেন। অথচ চাইলে নিজে আগে বেরিয়ে যেতে পারতেন।কিন্তু আদর্শ শিক্ষক কখনো তার দায়িত্ব থেকে পিছু হটেন না, এ বিশ্বাসই যেন তার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত বহন করেছেন।

সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। 

আসু