প্লট জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধানে এবার বেরিয়ে এলো ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরের ১৫ শীর্ষ কর্মকর্তার গাড়িচালকের নামে বরাদ্দ হওয়া প্লটের তথ্য। বিশেষ বিবেচনায় ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্পের তিন ও পাঁচ কাঠা করে প্লট দেয়া হয়।
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারীদের জন্য বরাদ্দ ছিল রাজউকের এই প্লটগুলো। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে সাবেক মুখ্য সচিব, একান্ত সচিব, ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফারের গাড়িচালকরাও বাগিয়ে নেন রাজউকের এই প্লট। সম্প্রতি রাজউক কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত নথিপত্র জব্দ করে দুদক।
নথি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দুইজন চালক পেয়েছেন তিন কাঠা, আর তিনজন পেয়েছেন পাঁচ কাঠা জমি। প্লট বরাদ্দের তালিকায় আরও রয়েছে ৪৫ ব্যবসায়ী, দুজন বাংলাদেশি-ব্রিটিশ নাগরিক, কয়েকজন সাংবাদিক, বিচারপতি ও অন্যান্য পেশার ব্যক্তি। এদের মধ্যে এবার খতিয়ে দেখা হবে- কোন ক্যাটাগরি ও কাদের সুপারিশে এই প্লট পেলো তারা।
দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, ‘প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতা পাওয়ায়, এ বিষয়ে আমাদের যে অ্যামপোসমেন্ট টিমের সদস্যরা এ বিষয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। তারা তাদের প্রতিবেদনে বিস্তারিত তুলে ধরে কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন।’
এদিকে সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে প্লট নেয়ার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে দুদক।
আক্তার হোসেন বলেন, ‘রাজউক ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এবিএম খায়রুল হক কর্তৃক বিধিবর্হিভূতভাবে প্লট হস্তগত করার অভিযোগ কমিশন কর্তৃক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’
অন্যদিকে, মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদসহ ইউসিবি ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ৩১ জনের বিরুদ্ধেও ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ এর মামলা করেছে দুদক।