সখীপুরের কালিদাস বহুরিয়া সড়কের করটিয়া পাড়া এলাকায় ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৫ মিটার পিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাজ শুরু করে মাইন উদ্দিন লিমিটেড নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এক বছরে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দফায় দফায় সময় বাড়িয়ে প্রায় ৫ বছরে কাজ শেষ হয়েছে ৮০ শতাংশ।
স্থানীয়রা বলছেন, ব্রিজটির কাজ শেষ না হওয়ায় তাদের ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার ঘুরে উপজেলায় যোগাযোগ করতে হয়। এতে সময় ও কয়েকগুণ বেশি ভাড়া লাগছে। কমেছে আয় রোজগার। এতে অন্তত ৩০ গ্রামের শিক্ষার্থীসহ অর্ধ লাখ মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
এলাকাবাসী জানান, ব্রিজের এ অবস্থার জন্য সরাসরি গাড়ি আসতে পারেনা। যাতায়াতে সমস্যা হয়। অনেক রাস্তা ঘুরে যেতে হয় ব্রিজের জন্য।
স্থানীয়দের অভিযোগ এলজিইডি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ঠিকাদার দীর্ঘদিনেও কাজ শেষ করেনি। পাশাপাশি নিম্নমানের কাজের অভিযোগ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর ধরে কাজ চলছে কিন্তু শেষ হচ্ছে না। কিছুদিন কাজ হলে আবার মাসখানেক বন্ধ থাকে।
নির্মাণাধীন ব্রিজের পাশে তৈরি করা হয়েছে বিকল্প ব্রিজ তবে সেটিও ঝুঁকিপূর্ণ । বিকল্প ব্রিজ ঠিকাদারের করে দেয়ার কথা থাকলেও তারা তা করেনি। এ নিয়ে ঠিকাদারের পক্ষেই সাফাই গাইলেন উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী। আর স্থানীয় ইউপি সদস্যের দাবি উপজেলা উন্নয়ন সভায় বিষয়টি একাধিকবার উপস্থাপনের পরও প্রতিকার মেলেনি।
বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিন প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার লোক চলাচল করে এ রাস্তা দিয়ে। কাজ খুব ধীরগতিতে চলছে। এভাবে কাজ চললে আমাদের জন্য ভোগান্তি বাড়ছে।’
সখীপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান বলেন, ‘যে ধরনের জিনিসপত্র ব্যবহার করা হয়, এগুলো এলজিইডিতে পরীক্ষা করার পর উত্তীর্ণ হওয়ার পর ব্যবহার করা হয়। নিম্ন মানের কাজের কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি এখনো। কোনো কারণে হয়তো শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার। আমরা ঠিকাদারকে তাগিদ প্রদান করেছি। বর্তমানে কাজের গতি ৮০ শতাংশ।’
কত দিনে কাজ শেষ করতে পারবেন তা জানেন না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এই কর্মকর্তা।
মাইন উদ্দিন লিমিটেডের ম্যানেজার রবিউল ইসলাম বলেন, ‘হিসাব নিকাশ করে বলতে হবে বাকি কাজ শেষ হতে আর কতদিন লাগবে।’
জনদুর্ভোগ লাঘবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এমন প্রত্যাশা স্থানীয়দের।