বছর ঘুরে আবারও বুকে কাঁপন ধরানো আগষ্ট। একদিকে ছাত্র-জনতা অন্যদিকে ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখতে রাজপথ দখলে নেয়ার চেষ্টা সরকারের। সেদিন ছাত্র-জনতাকে রাজপথ থেকে সরাতে পেটোয়া বাহিনীতে পরিনত হয়েছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। হামলা-মামলা দিয়ে যখন কাজ হচ্ছিল না তখন শুরু হয় অস্ত্রের ব্যবহার।
গুলি করে চেষ্টা চলে রাজপথ থেকে ছাত্র-জনতাকে সরিয়ে দেয়ার নীল নকশা। তবে ভয়কে জয় করে সেদিন শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে দেশের মানুষ।
আরও পড়ুন:
এরপর এক একে সামনে আসতে থাকে জীবন দেয়া মানুষের নাম। সরকারি তালিকায় নথিবদ্ধ হয়েছে ৮৩৪ জন শহিদের নাম। জাতিসংঘের হিসেবে প্রাণ গেছে ১৪ শ’ জনের।
'২৪ এর রক্তাক্ত জুলাইয়ে অনেককেই দাফন করা হয় রায়ের বাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের গণকবরে, যেখানে রয়েছে ১১৪টি মরদেহ। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গণকবর পরিদর্শন শেষে জানান, মরদেহগুলো শনাক্তের কাজ চলছে। পরিবার চাইলে করা হবে পোস্টমর্টেম।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এখানে প্রায় ১১৪ জনের গণকবর রয়ে গেছে, যাদের এখনো আমরা আইডেন্টিফাই করতে পারিনি। আমরা চেষ্টা করছি। অনেক সময় আগে একটা ছিল যে, তাদের যারা উত্তরসুরী রেখে গেছেন, তাদের ভেতর কেউ চাচ্ছিল যে এটা শনাক্ত করা হোক, কেউ চাচ্ছিল না। এখন তারা নাকি রাজি হয়েছে শনাক্ত করার জন্য। আমরা খুব দ্রুত শনাক্ত করে, যারা মরদেহ এখানে রাখতে চায়, তারা এখানেই রাখতে পারবে, আর যারা নিয়ে যেতে চায়, তারা নিয়ে যেতে পারবে।’
আরও পড়ুন:
এর আগে, মোহাম্মদপুর থানা পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশবিরোধী চক্রান্তে যেই জড়িত থাকবে তাকে ছাড় দেয়া হবে না।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘যেই জড়িত থাকবে, কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। সবাইকেই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। আর যেহেতু আপনারা বললেন যে, তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তারা যদি কোনো অপকর্ম সংঘটিত করতে চায়, কোনো রকম ছাড় পাবে না।’
বাংলাদেশি মিডিয়ার সত্য প্রকাশের কারণে বিদেশি মিডিয়ার গুজব কমেছে বলেও মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।