কোটা বাতিলের দাবিতে ১৬ জুলাই আন্দোলনে নামে সিরাজগঞ্জের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও উত্তরবঙ্গ ব্লকেডসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। দফায় দফায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধাঁয় জুলাই মাসে আন্দোলন তেমন গতি পায় না। তবে আগস্টের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের স্লোগানে মুখরিত হয় রাজপথ।
৪ আগস্ট সকাল থেকে শহরের বাজার স্টেশনে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধার মুখে পিছু না হোটে প্রতিরোধ গড়ে তোলে তারা। পুলিশ আর ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে শুরু হয় ধাওয়া-পালটা ধাওয়া। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় যুবদল নেতা রঞ্জ।
ছাত্র জনতার প্রতিরোধে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো শহর। পুড়িয়ে দেয়া হয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়, উপজেলা ভূমি অফিস আর স্থানীয় এমপিদের বাসভবন। জনতার প্রতিরোধে পালাতে বাধ্য হয় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা।
এক জুলাই যোদ্ধা বলেন, ‘আন্দোলন কর্মসূচিতে আমরা যখন নামি আওয়ামী লীগ সরাসরি পিস্তল-শটগান নিয়ে আক্রমণ করে।’
আরও পড়ুন:
আরেক জুলাই যোদ্ধা জানায়, আমরা সবাই যার যার অবস্থান থেকে রাজপথে নেমেছি।’
আলোচনায় আসে এনায়েতপুর থানায় হামলা আর অগ্নি সংযোগের ঘটনা। ভীত ভেঙে যায় জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। এক পর্যায়ে নিজেদের গুটিয়ে নেয় পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পালিয়ে যেতে হয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেরও।
এদিনে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ছোড়া গুলিতে শহিদ হন দুই শিক্ষার্থীরসহ ৭ জন। আর আহত হন ৪ শতাধিক মানুষ।
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মো.ফারুখ হোসেন বলেন, ‘আমরা এখন অ্যাকটিভ আছি। পুলিশকে জনমুখী করার চেষ্টা করছি।’
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘শহিদ ১৩ পরিবারের খবরগুলো সংগ্রহ করেছি। এ সপ্তাহে খবর সংগ্রহ শেষ হয়েছে। শহিদ পরিবারকে ইতিমধ্যেই ১০ লাখ করে টাকা দেয়া হয়েছে।’