বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবৈধভাবে দখল করা জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছিলো সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর বাংলো বাড়ি। বিলাসবহুল বাড়িতে সুইমিংপুল থেকে শুরু করে ছিলো আয়েশি সময় কাটানোর নানা সুযোগসুবিধা। নদীর মনোরম পরিবেশ উপভোগ করতে বাড়ি সঙ্গেই রয়েছে বিশাল ঘাট।
৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে নদীর এসব বেদখল জায়গা দখল মুক্ত করতে অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ।
আজ (বুধবার, ২০ আগস্ট) বুড়িগঙ্গা তীরভূমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করে বিইডব্লিউটিএ। কেরানীগঞ্জে কাটুরাইল মৌজা থেকে শুরু হয় এই উচ্ছেদ অভিযান। যেখানে এক থেকে প্রায় দেড় একর জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা ডক ইয়ার্ডসহ বেশকিছু আবাসিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
স্থানীয়দের মধ্যে একজন বলেন, ‘গতকাল মাইকিং করছে যে, পিলারের ওইপাশে যত স্থাপনা আছে সব ভেঙে ফেলা হবে। সেজন্য সব সরিয়ে নিতে বলছিল।’
অন্য একজন বলেন, ‘আমাদের এক, দুই বা তিন মাস সময় পেলে তাহলে আমরা নিজেদের জায়গা থেকে সরিয়ে ফেলতে পারতাম।’
আরও পড়ুন:
কর্মকর্তারা জানান, ২০০৯ সালে জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটের আদেশে নদীর জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ ধারাবাহিকতায় সীমানা পিলারের অভ্যন্তরে থাকা সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে।
ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘সাবেক সরকারের একজন মন্ত্রী এখানে নদীর জায়গা দখল করে দোতলা একটা বাংলো বাড়ি তৈরি করেছে। যেটি অবৈধভাবে করেছে। দখলদাররা যত শক্তিশালীই হোক আমরা তাদের উচ্ছেদ করবো।’
জায়গা দখলমুক্ত করে নদী রক্ষায় বিভিন্ন পরিকল্পনার কথাও জানায় বিআইডব্লিউটিএ। উচ্ছেদ অভিযান নির্বিঘ্নে করতে সতর্ক অবস্থানে ছিলো আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।