১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলাদেশ। যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যুক্ত হয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। সেই প্রেক্ষাপটে ভারতও দিনটিকে ‘নিজেদের বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে। তবে ঐতিহাসিকভাবে এই দিনের মূল বিজয় ছিল বাংলাদেশের; কারণ এই দিনেই বাঙালি জাতি অর্জন করে বহু কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা এবং জন্ম নেয় স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ।
মোদির পোস্টে লেখা হয়, বিজয় দিবসে আমরা আমাদের সেই সাহসী সেনাদের স্মরণ করছি, যাদের সাহসিকতা ও আত্মত্যাগ ১৯৭১ সালে ভারতের এক ঐতিহাসিক বিজয় নিশ্চিত করেছিল। তাদের দৃঢ় মনোবল ও নিঃস্বার্থ সেবা আমাদের দেশকে রক্ষা করেছে এবং আমাদের ইতিহাসে একটি গৌরবান্বিত মুহূর্ত খোদাই করেছে। এই দিনটি তাদের সাহসকে সম্মান জানায় ও তাদের অসাধারণ মনোবলকে মনে করিয়ে দেয়। সেনাদের এই বীরত্ব ভারতের বহু প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।
এর আগে, ভারতের সেনাবাহিনীও বিজয় দিবস উপলক্ষে একটি পৃথক পোস্ট দেয়। সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, বিজয় দিবস শুধু একটি তারিখ নয়; এটি ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ঐতিহাসিক ও চূড়ান্ত বিজয়ের প্রতীক।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর পোস্টে আরও বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছিল ভারতীয় সেনারা। মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর যৌথ লড়াই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে নিয়ে যায়।
পোস্টে উল্লেখ করা হয়, এই বিজয় ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইতিহাসকে নতুনভাবে গড়ে তুলেছে, দক্ষিণ এশিয়ার মানচিত্র পুনরায় অঙ্কন করেছে এবং নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছে। একই সঙ্গে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর চালানো নৃশংসতা, অত্যাচার ও নিষ্ঠুরতার অবসান ঘটায় এই যুদ্ধ।





