মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানিয়েছে, গত কয়েকদিনে হাইকমিশনের সামনে ও বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ ও বাংলাদেশের ভিসা সেন্টারে হামলার ঘটনার পর বাংলাদেশের হাইকমিশন, উপ-দূতাবাস ও ভিসা সেন্টারগুলোয় নিরাপত্তা ইস্যু প্রকট হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এমনকি হাইকমিশন বা দূতাবাসের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে আন্তর্জাতিক রীতিনীতি লঙ্ঘিত হওয়ায় কর্মকর্তাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এসব ঘটনায় ভারত সরকারের দিক থেকে আন্তর্জাতিক বিধিবিধান অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না বলে কর্মকর্তারা মনে করছেন।
জানা গেছে, ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস নামে একজনকে ‘ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ’ তুলে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার পর থেকে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ করছে বিভিন্ন সংগঠন।
বিশেষ করে আসামে ও কলকাতায় বেশ কিছু হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিক্ষোভ করেছে। আজও কলকাতায় উপদূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছে একটি সংগঠনের কর্মীরা, ভাংচুর হয়েছে শিলিগুড়িতে বাংলাদেশ ভিসা সেন্টারেও।
আরও পড়ুন:
এছাড়া আসামের ৫০টিরও বেশি জায়গায় ওই একই ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখিয়েছে ‘বাঙালি পরিষদ, আসাম’। এর আগে শনিবার রাতে ভারতের দিল্লির কূটনৈতিক এলাকায় নিরাপত্তা বেস্টনি ভেদ করে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করে 'হিন্দু চরমপন্থীদের' একটি দল।
যদিও এটি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রচারের পর এ প্রচারকে বিভ্রান্তিকর উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। পরে সেই বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।—বিবিসি বাংলা





