'জান দিয়েছে আমার ভাই, জুলাই কিন্তু ব্যাঁচে নাই' শ্লোগানে উত্তাল শাহবাগ। ওসমান হাদির জন্য সীমাহীন ভালোবাসা এখন ক্ষোভ হয়ে জ্বলছে। স্ত্রী সন্তান সঙ্গে নিয়ে অনেকেই এসেছেন হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে কণ্ঠ মেলাতে। দূর দূরান্তের জেলা থেকেও এসেছেন অনেকে।
বিরতিহীন আন্দোলনের দেড় দিন পেরিয়েও মানুষের জোয়ার বাড়ছে শাহবাগে। ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে বিরতিহীন শ্লোগানের মুখর শাহবাগ। হাদির মতো এত স্পষ্ট করে বাংলাদেশের কল্যাণের কথা কেউ বলেনি, দাবি বিক্ষুব্ধদের।
আন্দোলনকারীরা জানান, হাদি হত্যার বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। অনেকেই এখানে গতকাল থেকে রয়েছেন, আজও আছেন, থাকবেন আগামীকালও।
আরও পড়ুন:
রাত বাড়লেও কমেনি নারীদের উপস্থিতি। দ্বিতীয় রাতও শাহবাগ কাটানোর প্রস্তুতি নিয়ে এসেছেন অনেকেই। হত্যাকারীকে খুঁজে বের করতে ব্যর্থ হওয়ার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
আন্দোলনকারীরা জানান, এ দায়িত্ব সরকারের। সরকার চাইলেই খুনিদের ধরতে পারে। তারা কেন ধরছে না? স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কোথায় তিনি?
রাত ১১টার শাহবাগে আসেন তথ্য উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান আগামী ৭ জানুয়ারি হাদি হত্যাকাণ্ডের চার্জশিট দেয়া হবে জানিয়ে বলেন, হাদির হত্যাকারীকে পাওয়া গেলে দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়েছে ভারত।
তথ্য উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডের চার্জশিট সুনির্দিষ্টভাবে দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ ৭ জানুয়ারি ২০২৬ এর মধ্যে। ভারত সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাকে যদি ভারতে খুঁজে পাওয়া যায় তাহলে তারা বাংলাদেশকে সহায়তা করবেন এ বিষয়ে।’
তথ্য উপদেষ্টার আশ্বাসের পরও ঘরে না ফিরে রোববার ৮ বিভাগে অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ‘আমরা দশজনকে গ্রেপ্তার করেছি এরকম আমরা এখানে বলতে পারছি না। তবে এর পেছনে কারা আছেন সেগুলো উদঘাটনে আমরা জোড় প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।’
হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে দেশের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি চট্টগ্রামের নিউমার্কেট মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কেন্দ্র থেকে ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দেয় তারা।
হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারই একমাত্র দাবি হওয়ায় আন্দোলনকারীদের ঘরে ফেরার বিষয়ে কোন নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি।




