সকাল ৯টার আগেই পূর্ণ হয়ে যায় সমাবেশস্থল। সমাবেশে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘জামায়াত সরকার গঠন করলে নারীরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে।’
বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে নারীদের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পুরুষের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে নামাজসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়। তবে নারীদের জন্য তেমন সুযোগ-সুবিধা দেখা যায় না।’
কর্মক্ষেত্রে নারীর জন্য আলাদা নামাজের স্থানের ব্যবস্থা করার আহ্বানও জানান তিনি।
সমাবেশে যোগ দিয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, ‘শ্রমিক ও মালিকদেরই দ্বন্দ্ব বাঁধিয়ে দিয়েছিল কমিউনিজমের ভ্রান্ত ধারণা।’
চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে পারলেই শ্রমিকবান্ধব রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব হবে বলেও মন্তব্য করেন বক্তারা।
শ্রমিকের পারিশ্রমিক নিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, ‘অনেক ফ্যাক্টরি বা কারখানায় শ্রমিকরা এতো কম বেতন পান, যা দিয়ে দিন চলে না। যার ফলে তাদের ওভারটাইম করতে হয়।’ এই অমানবিক জীবনের অবসান ঘটানোর দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
শফিকুর রহমান বলেন, শ্রমিকরা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত ও অধিকার বঞ্চিত। শ্রমিকদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয় না। একই সঙ্গে শ্রমিকরা চাঁদাবাজদের জুলুমেরও শিকার। মালিক ও শ্রমিক উভয় পক্ষকেই একে অপরের জন্য কাজ করতে হবে। পারস্পরিক ভালোবাসার ভিত্তিতে দেশ গড়তে হবে।