আদালতের রায়ে বিজয় হয়েছে উল্লেখ করে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘আইনের শাসনের বিজয় হয়েছে। আইনের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। আমরা আশা রাখব, বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার আর এক দিনও যাতে কালক্ষেপণ না করে।’
তিনি বলেন, ‘আমি আসার সময় আমাদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে এসেছি। হাইকোর্টে একটি ভুয়া রিট, বলা যায় সেই রিট দিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আমাকে মেয়র পথে শপথ করানো থেকে বাধাগ্রস্ত করানোর একটা অপচেষ্টা করা হয়েছিল। সব শেষে আইনের শাসনের বিজয় হয়েছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে।’
দলীয় সমর্থকদের আন্দোলন সাময়িক স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে ইশরাক বলেন, ‘সরকারের ভেতরে থাকা ছাত্র প্রতিনিধিদের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। হাইকোর্টের আদেশের পর আপাতত অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত। সাময়িক অসুবিধা ও সেবা থেকে বিরত রাখার জন্য নাগরিকদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।’
সরকারের পদক্ষেপ দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও এ সময় তিনি উল্লেখ করেন।
আরো পড়ুন:
এর আগে, গতকাল সকাল থেকে ইশরাককে মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে কাকরাইলে অবস্থান নেন তার সমর্থকরা। তারা সারারাত সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। একই সঙ্গে এখন থেকে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগও দাবি করছেন তারা।
আজও দিনভর বিএনপি নেতাকর্মীরা ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। বিকেলে আন্দোলনস্থলে পৌঁছান ইশরাক।
সমর্থকদের সঙ্গে আলাপচারিতা করে তিনি চলমান কর্মসূচি পরবর্তী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা স্থগিতের ঘোষণা দেন।
এর আগে, আজ দুপুরে ইশরাক হোসেনকে দক্ষিণ সিটির মেয়র পদে রায়ের বৈধতা ও শপথ পড়ানো স্থগিত চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে মেয়র পদে শপথ নিতে বিএনপির এই নেতার আর কোনো বাধা রইলো না।
বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ এ রিটটি খারিজ করে দেন।