সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশে চলমান অন্তর্বর্তীকালীন রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্যে হঠাৎ করে ‘এনসিপি’ নামে একটি অনিবন্ধিত ও জনবিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দল বর্তমান নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানিয়ে জনমনে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। অথচ গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় গঠিত এই নির্বাচন কমিশন দেশের বিভিন্ন পেশার সৎ, দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত হওয়ায় সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে।
এমন একটি সময়, যখন কমিশন নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছে; তখন পুনর্গঠনের দাবি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও জনবিরোধী বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশ্লেষকদের মতে, ফ্যাসিবাদী শাসন আমলে বিতর্কিত নির্বাচন কমিশনগুলোর বিরুদ্ধে অবস্থান না নিয়ে এনসিপি এখনকার জনসমর্থিত কমিশনের বিরুদ্ধে কথা বলায় তাদের উদ্দেশ্য প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, বরং আজ জনমনে প্রশ্ন উঠছে, সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে। বর্তমানে দায়িত্বে থাকা একাধিক উপদেষ্টার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব, দুর্নীতি ও ফ্যাসিস্ট ঘরানার ব্যক্তিদের পক্ষে কাজ করার অভিযোগ উঠছে। কোনো কোনো উপদেষ্টার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও প্রমাণ গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলেও, সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে এখনো কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ পরিস্থিতিতে জুলাই ঐক্য, ছাত্র-জনতা, ছাত্র সমন্বয়ক এবং বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠন উপদেষ্টা পরিষদের অবিলম্বে পুনর্গঠন এবং বিতর্কিত উপদেষ্টাদের অপসারণের জোর দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে জানানো হয়, নির্বাচন কমিশন নয়, বরং পুনর্গঠনের প্রয়োজন উপদেষ্টা পরিষদে।—সংবাদ বিজ্ঞপ্তি





