এক যৌথ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পরও গণহত্যাকারী দলের সন্ত্রাসীরা দেশে নৈরাজ্য ও সহিংসতার মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। গোপালগঞ্জে এনসিপির পূর্বঘোষিত শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর পরিকল্পিত হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ, পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ—কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; বরং এটি একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।’
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক হলো, স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনী হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে। এ থেকেই স্পষ্ট হয়, এখনো প্রশাসনের একটি অংশ ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর প্রতি আনুগত্যশীল হয়ে কাজ করছে। আমরা এই বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।’
আরও পড়ুন:
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ‘বিগত সময়ের গণহত্যা, দমন-পীড়ন ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিচার না হওয়ায় দুষ্কৃতিকারীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ আর কখনোই ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান দেখতে চায় না। আইনের শাসন ও জুলাই শহিদদের কাঙ্ক্ষিত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে সকল সন্ত্রাসীদের রুখে দিতে হবে।’
নেতৃবৃন্দ গোপালগঞ্জের ন্যক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুষ্কৃতিকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
তারা আহত পুলিশ সদস্যদের সুস্থতা কামনা করেন। সেই সঙ্গে ফ্যাসিস্ট আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে তাদের অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং নতুন প্রশাসন নিয়োগের দাবি জানান।