মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘সংস্কার ও সঠিক সময়ে নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে সংশয়ের বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছি। তাকে বলেছি, আপনি যদি প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে না পারেন, আবার ভালো নির্বাচনও নিশ্চিত করা সম্ভব না মনে করেন তাহলে পদত্যাগ করে চলে আসুন। সংস্কার ও নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে আগ্রহী সব পক্ষ মিলে আপনার নেতৃত্বে আমরা একটা নির্বাচনী এলায়েন্স করি।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শুধু বিপদে পড়লেই প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোকে ডাকেন। আমরা ফ্যাসিবাদের পতনের পরে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছি এবং এটি রোধ করতে সরকার কার্যকর ভূমিকা নেয়নি। এর প্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ঘনঘন বসবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘উত্তরার মাইলষ্টোন কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় গতকাল দুই উপদেষ্টার ৮ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকা এবং একইসঙ্গে সচিবালয়ে বিশৃঙ্খলা দেখে মনে হচ্ছে উপদেষ্টাদের প্রতি জনগণের অনাস্থা তৈরি হচ্ছে। এই দুটি ঘটনার মাধ্যমে সরকারের দুর্বলতা প্রকাশ পাচ্ছে। তিনি এই দুর্বল সরকার দিয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন।’
এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি বিমাতা সুলভ আচরণ করা হচ্ছে কি না। কোনো রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রীয় প্রটোকল পাচ্ছে, সরকারি সুবিধা পাচ্ছে আর কোনো রাজনৈতিক দল এমন সুবিধা পাবে না এমন কেন হবে? এটি আমরা রাজনৈতিক দলগুলো প্রধান উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করেছি।’
তিনি বলেন, ‘সরকার কঠিন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। এটি সরকারের একটি বড় ব্যর্থতা। এটা খুবই দুঃখজনক যে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা কমে গেছে, পাশাপাশি আমরা যারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অংশীদার এবং গণঅভ্যুত্থানের নায়কদেরও গ্রহণযোগ্যতাও কমেছে বলে মনে করছি।’
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি ও ইসলামী আন্দোলন এই চারটি দল একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। এটি গণতান্ত্রিক অধিকার হলেও এই উস্কানিমূলক বক্তব্যে নির্বাচনের পরিবেশকে বিঘ্নিত করবে।’
ব্রিফিংয়ে এবি পার্টির নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী) সাঈদ নোমান, যুব পার্টির সদস্য সচিব হাদিউজ্জামান খোকন, সহকারী অর্থ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক ও সহকারী প্রচার সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ।
