বিচ্ছিন্ন ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সরকারকে কঠোর হতে হবে: আযম খান

কথা বলছেন অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান
কথা বলছেন অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান | ছবি: এখন টিভি
1

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন, ‘আমরা লক্ষ্য করছি, দেশের বিভিন্ন জায়গায় আইনশৃঙ্খলার কিছু কিছু অবনতি ঘটছে। এটাকে ব্যাপক বলা যাবে না। তবে সরকারকে কঠোর হতে হবে। আজ (শনিবার, ১৬ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা মহিলা দলের কর্মী সভায় যোগ দেয়ার আগে একথা বলেন তিনি।

আহমেদ আযম খান বলেন, ‘সরকার যদি এ বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোকে কঠিনভাবে মোকাবিলা না করে তাহলে এ ঘটনাগুলো আরও ঘটতে থাকবে। নির্বাচনের পরিবেশ সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যাবে। এটা যে পরিকল্পিত সরকারকে বুঝতে হবে। সরকারের জন্য একটা ভালো নির্বাচন করা চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়বে। আমরা চাই না গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এ সরকার ব্যর্থ হোক।’

তিনি বলেন, ‘সরকার বিএনপিসহ অন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। ড. ইউনূস দেশে ও দেশের বাইরে এ ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু কতিপয় রাজনৈতিক দল এ ঘোষণাকে গ্রহণ করতে পারছে না। তারা নানা ধরনের পরিবেশ ঘোলা করবার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। আমি মনে করি সরকারের কঠোর হওয়া উচিত।’

আরও পড়ুন:

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সম্প্রতি লক্ষ্য করছি আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় অকারেঞ্জ হচ্ছে। আমাদের উপদেষ্টাদের নিয়ে নানা ধরনের কথা হচ্ছে। তাদের সম্পর্কে নানা রকমের ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে। এটা নিয়ে আমরাই যে চিন্তিত তা না। গণতন্ত্রমনা প্রত্যেকটা নাগরিক চিন্তিত। কারণ যত তাড়াতাড়ি গণতন্ত্রের পথে ফেরত যাওয়া যায় দেশের জন্য মঙ্গল। কিন্তু তারা গণতন্ত্রে যাওয়ার পেছনে বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমাদের জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সমস্ত প্রতিকূলতা থেকে নির্বাচনের পথে দৃষ্টি দিতে হবে। তা না হলে দেশের জন্য অত্যন্ত অমঙ্গল জনক।’

এসময় জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবুল কাশেম, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন আল জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক নূরনবী আবু হায়াত খান নবু, পৌর বিএনপির সভাপতি আক্তারুজ্জামান তুহিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ পিন্টু, উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি রাশেদা সুলতানা রুবি, সাধারণ সম্পাদক মর্জিনা বেগম, বাসাইল পৌর মহিলা দলের সভাপতি রোকসানা খান, সাধারণ সম্পাদক নাজমা রহমান প্রমুখ।

সেজু