ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন অনেকেই দেখেন, তবে বেশিরভাগ স্বপ্নই হারিয়ে যায় দরিদ্রতার অভিশাপে। কিংবা প্রতিভা থেকেও উচ্চপদস্থ ক্রিকেট কর্মকর্তাদের সুনজরে না আসা। আবার নানাবিধ প্রতিবন্ধকতা জয় করে যারা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট পাড়ায় পা রাখেন, তাদের পরীক্ষা নেয় ইনজুরি। তখন আশা পরিণত হয় হতাশায়, সর্বস্ব ত্যাগ করে তিলে তিলে গড়া ক্যারিয়ারে নেমে আসে দুর্বিষহ অন্ধকার। খুলনার বিভাগীয় দলের ক্রিকেটার সালমান হোসেনের গল্পটা অনেকটা এরকমই।
সালমান হোসেন বলেন, ‘প্রায় তিনমাস হচ্ছে ইনজুরিটা হয়েছে। এর ভেতর চেষ্টা করছি নেজেরে কোনোভাবে সুস্থ করা যায় কি না। অপারেশন করা লাগবে শুনে আমি চিন্তা করলাম যে, এত টাকা আমি কোথায় পাবো। তখন মাথা আর কাজ করছিল না। সেসময় একটু ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছিলাম যে কী হবে? খেলতে পারবো কি না?
ক্রিকেটই যার ধ্যানজ্ঞান। ক্রিকেট খেলেই যার সংসার চলে, মৌসুমের খেলা থেকে দীর্ঘ বিরতিতে থাকায় আয়ও নেই তেমন।
সালমান হোসেন বলেন, ‘আমি এনসিএল থেকে খেলে যে টাকাটা পাই আর এলাকায় খ্যাপ খেলে যে টাকা পাই এটা দিয়ে আমার পরিবার, আমার নিজের চলতে হয়। আমার খুবই ভালো চলছিল। হঠাৎ ইনজুরি হয়ে তিনমাস খেলতে পারি না। শুধু টাকার বিষয় না, আমি প্রিমিয়ার লিগ খেলতাম, সেখানে পাঁচ-সাতটা ম্যাচটা খেলতে পারলে আমার ক্যারিয়ার আরও ভালো হতো।’
এমন অনিশ্চয়তার মাঝে ফেসবুকে একটা পোস্ট স্বপ্ন দেখাচ্ছে সালমানকে। দৃষ্টি এড়ায়নি বিসিবির। হাত বাড়িয়ে দেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট।
সালমান হোসেন বলেন, ‘বিসিবির প্রধান যখন মাথায় হাত রাখেন, রপর তো আর কোনো কথা থাকে না। অবশ্যই করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। করবে ইনশাআল্লাহ, এটা আমার তার প্রতি বিশ্বাস।’
বিসিবি প্রেসিডেন্টের আশ্বাসে চিকিৎসার নিশ্চয়তা মিলেছে। তবে সালমানের চাওয়া তাকে যেন চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানো হয়।
সালমানের স্বপ্নের সারথি হয়ে বিসিবি সভাপতি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন, সালমানকে মাঠে ফেরাবেন, প্রত্যাশা শুভাকাঙ্ক্ষীদের।