মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সার্কিট হাউজের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এতে বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। গণমিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী জেলা আমীর আহসান হাবিব মাসুদ।
তিনি বলেন, ‘আজকের দিনে বাংলাদেশ থেকে ফ্যাসিবাদ তার প্রভুর দেশে পালিয়ে যায়। আর কোনো ফ্যাসিবাদকে এ দেশে দাঁড়াতে দেবো না। আগামীর বাংলাদেশ হবে ফ্যাসিবাদমুক্ত, চাঁদাবাজমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত, শোষণমুক্ত ইসলামের বাংলাদেশ। বৈষম্যবিরোধী ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সকলকে সঙ্গে নিয়ে আমরা একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবো ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আল কুরআনকে জাতীয় সংসদে নিয়ে যেতে চাই; যাতে সকল মানুষ তার অধিকার ফিরে পায়। আমরা বাংলাদেশে নতুন বন্দোবস্তের বার্তা নিয়ে এসেছি। আমরা সকলকে নিয়ে আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চাই।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক, সেক্রেটারি মাওলানা হুমায়ুন কবির, সহকারী সেক্রেটারি হোসনে মোবারক বাবুল ও অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম খান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি মাজহারুল ইসলাম, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও শহর আমীর অধ্যাপক মিজানুর রহমান চৌধুরী,অধ্যক্ষ মুন্তাজ আলী, ডা. একেএম আব্দুল হামিদ, অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ তালুকদার প্রমুখ। সমাবেশ সঞ্চালনায় ছিলেন সদর উপজেলা আমির অধ্যাপক ইকবাল হোসাইন বাদল।
বক্তারা ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পতাকা তলে আসার আহবান জানান এবং নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে দৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করেন।