ইতিহাসেই সবচেয়ে বড় বিপর্যয় দেখেছে টাইগারদের ব্যাটিং ইউনিট!

বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা
বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা | ছবি: সংগৃহীত
0

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হার ৭৭ রানে। ম্যাচের অনেকটা সময় ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখলেও বাংলাদেশ ম্যাচ হাতছাড়া করেছেন নিজেদের ব্যাটিং ব্যর্থতার দায়ে। প্রেমাদাসার এই হারের দিনে নিজেদের ইতিহাসেই সবচেয়ে বড় বিপর্যয় দেখেছে টাইগারদের ব্যাটিং ইউনিট।

শেষ কবে এমন এক ব্যাটিং বিপর্যয় দেখেছিল বাংলাদেশ? উত্তরে অনেকেরই মনে আসতে পারে বিগত বছরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের কথা। তবে, পরিসংখ্যান আর বাস্তবতা বলছে, প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামেই নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যাটিং বিপর্যয় দেখে ফেলেছে বাংলাদেশের ওয়ানডে দল। স্কোরবোর্ডে ৫ রান তুলতেই এদিন বাংলাদেশ হারিয়েছে ৭ উইকেট। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে আর কখনোই এত কম রানে ৭ উইকেট হারাতে হয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে।

নাজমুল হোসেন শান্তর রানআউট দিয়ে শুরু। এরপর লিটন দাস আউট হয়েছেন লেগ বিফোরের ফাঁদে। ফিফটি করা তানজিদ তামিমও একই ওভারে হেঁটেছেন প্যাভিলিয়নের পথে। পরের তিন ওভারে বাংলাদেশ হারায় আরও চার উইকেট। একে একে আউট হন তাওহীদ হৃদয়, মেহেদি হাসান মিরাজ, তানজিম সাকিব এবং তাসকিন আহমেদ। ক্রিকেট দুনিয়াতে ২য় থেকে ৮ম উইকেটের পতন হিসেবে এটিই সবচেয়ে বাজে ব্যাটিং বিপর্যয়।

আর ইনিংসের যেকোনো পর্যায়েই ৭ উইকেট হারানোর বিবেচনায় এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিপর্যয়। ২০১৪ সালে মিরপুরে দলীয় ৫০ রানে তিন উইকেট থেকে ৫৮ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। আট রানের ব্যবধানে সাত উইকেট হারানোর সেই রেকর্ডটাই এতদিন ছিল তালিকার শীর্ষে। গতকাল বাংলাদেশ ছাড়িয়ে গিয়েছে ১১ বছর আগের সেই দুঃসহ স্মৃতিকেও।

বাংলাদেশ অবশ্য সান্ত্বনা পেতে পারে, ক্রিকেট বিশ্বেই সবচেয়ে বড় রেকর্ডটা অন্তত সইতে হয়নি এদিন। ২০০৮ সালে হারারেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে ইনিংসের শেষ ৭ উইকেট হারিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। ১২৪ রানে ৩ উইকেট থেকে ১২৭ রানে অলআউট হয় রোডেশিয়ানরা। ৫ রান করে বাংলাদেশ নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছে বিব্রতকর এই রেকর্ডের দ্বিতীয় স্থানে।

এসএস