ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে নিয়মিত খেললেও, সাফল্যের চিত্রের দেখা মেলা ভার। সবশেষ ৫ ম্যাচে জয় নেই একটিও। গেল তিন মাসে ৭ ম্যাচ খেলে জয় কেবল একটি, সেটিও দুর্বল আরব আমিরাতের বিপক্ষে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই সিরিজে শূন্য হাতে ফেরার পর আরও একটি সিরিজ বাঁচানোর চ্যালেঞ্জের সামনে লিটন দাসরা। দলের যে হাল, তাতে পারবে তো বাংলাদেশ?
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ ফিল সিমন্স বলেন, ‘আগের ম্যাচে যেসব জায়গায় আমরা ভালো করতে পারিনি সেসব জায়গায় ভালো করাই আপাতত প্ল্যান। আমাদেরকে আরো বেশি রান করতে হবে এবং প্রথম ছয় ওভারে ভালো বোলিং করতে হবে। ওদের সঙ্গে লড়াই করার জন্য আমাদেরকে কিছু নির্দিষ্ট জায়গায় উন্নতি করতে হবে।’
আরও পড়ুন:
পরিস্থিতি যখন এমন তখন উত্তপ্ত লাল-সবুজের ড্রেসিংরুমও। আগের ম্যাচেই চার ওপেনার নিয়ে একাদশ সাজানোর আর ইনফর্ম ব্যাটার জাকের আলীকে বাদ দেয়ার ব্যাখ্যা খুঁজতেই গলদঘর্ম অবস্থা! এ অবস্থায় সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে একাধিক পরিবর্তন নিয়েই মাঠে নামতে পারে বাংলাদেশ। ফিরতে পারেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ আর ব্যাটার জাকের আলী।
কোচ ফিল সিমন্স বলেন, ‘জাকের তৃতীয় ওয়ানডের আগে ইনজুরিতে পড়েছিল। আমরা ওর অবস্থা দেখবো। উইকেটও দেখবো। তারপর সিদ্ধান্ত নিবো একাদশে পরিবর্তন আনবো কি না! সবাইকে বুঝতে হবে কি হচ্ছে। জাকের ইনজুরিতে পড়লো, তার পরিবর্তে কে খেলবে? আমাদের একজন ব্যাটার খেলাতেই হতো। সেজন্যই এতগুলো ওপেনারকে খেলানো। আর এই ফরম্যাটে ওপেনাররা পাঁচ এমনকি ছয় নাম্বারেও খেলে।’
দলের কঠিন পরিস্থিতিতে হাল ধরার কথা যার সেই ক্যাপ্টেনও নিজেও দীর্ঘদিন ধরে অফফর্মে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবশেষ ১৭ ইনিংসে কোন ফিফটির দেখা নেই। টি-টোয়েন্টিতে সবশেষ ফিফটিটা এসেছে ১৪ ম্যাচ আগে। ক্যাপ্টেনকে নিয়ে কী ভাবছে টিম ম্যানেজমেন্ট?

ফিল সিমন্স বলেন, ‘আমার মনে হয় ওর (লিটনের) আত্মবিশ্বাসের কিছুটা ঘাটতি আছে। আমরা জানি সে কি করতে পারে। আমরা খুব চেষ্টা করছি যাতে সে তার সেরা ছন্দে ফিরতে পারে। আশা করি পরের ম্যাচেই সে ফিরবে।’
ডাম্বুলায় যে ৮টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হয়েছে তাতে দুইবার দুই শতাধিক রান উঠেছে। ঘাসের উইকেটে রান করা তুলনামূলক সহজই। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটারদের রান তোলার যে গতি কিংবা ব্যাট-বলের যোগাযোগে যে ঘাটতি তাতে রানপ্রসবা উইকেটই বা কতটুকু কাজে আসবে?