টাইগার ক্রিকেটের নতুন অধ্যায়ে সেই পুরানো প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। মাস খানেক আগেই যাদের বিপক্ষে রয়েছে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার গ্লানি।
যদিও সেটি ছিল তাদের মাটিতে। তবে, এবার ঘরের মাঠে বলেই কিনা শুরু থেকেই চোয়ালবদ্ধ খেলোয়াড়রা। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে খেলার শুরু থেকেই যেন বাংলাদেশের অনুকূলেই ছিল সব। গ্যালারি ভর্তি দর্শকের সামনে টস ভাগ্য এসেছে লিটনের পক্ষে। এক বছরেরও বেশি সময় পর হোম অফ ক্রিকেটে ফিরে শুরুতেই যেন বোলারদের পরখ করে নিতে চাইলেন ক্যাপ্টেন লিটন দাস।
অধিনায়কের সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করতে প্রথম ওভার থেকেই আক্রমণাত্মক বোলাররা। যদিও তৃতীয় বলেই সহজ ক্যাচ ছেড়ে হতাশায় ডোবান তাসকিন, তবে, পরের ওভার থেকেই শুরু ম্যাজিক।
তাসকিন-মুস্তাফিজ-সাকিবের বলগুলো যেন একেকটি আগুনের গোলা। আর মেহেদির স্পিনঘূর্ণিতে কুপোকাত পাকিস্তানের টপ অর্ডার। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই সাজঘরে চার ব্যাটার।
সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। কাটার মাস্টার মুস্তাফিজের কাটার আর তাসকিনের গতির সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করে তিন বল বাকি থাকতেই ১১০ রানে গুটিয়ে যায় সফররতরা। মুস্তাফিজ দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কিপ্টে বোলিং করে চার ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট।
জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল একেবারেই নড়বড়ে। আগের সিরিজেই লঙ্কাদ্বীপে ঝড় তোলা তানজিদ তামিম ও লিটন দাস এদিন শুরুতেই দেখেন প্যাভিলিয়নের পথ। যখন আবারো সহজ ম্যাচ হারের শঙ্কার আকাশে কালোমেঘের ঘনঘটা, ত্রাতা তখন পারভেজ ইমন ও তাওহিদ হৃদয়।
পালটা আক্রমণে দুই ছক্কা দিয়ে শুরু করেন হৃদয়। এরপর এক প্রান্ত আগলে রাখা পারভেজ হোসেন ইমন যেন একাই দর্শকের ভূমিকায় দাঁড় করিয়ে দেন পাকিস্তানকে। দুজনের ৭৩ রানের জুটিতে জয়ের ভিত গড়ার পর হৃদয় বিদায় নিলেও বাকি সময় ইমনকে সঙ্গ দেন জাকের আলী অনিক। ৩৯ বলে ৫৬ রানের ঝড়ো ইনিংসে ছক্কার বৃষ্টি নামিয়ে ৭ উইকেটের সহজ জয় এনে দেন দলকে।
এই জয়ে কেবল সিরিজে ১-০ তেই এগিয়ে গেল না বাংলাদেশ, ভাঙল দীর্ঘ অপেক্ষার প্রাচীর। ২০১৬ সালের পর এই প্রথম টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে পাকিস্তানকে হারাল টাইগাররা। সেই সঙ্গে জয়ের আত্মবিশ্বাসটাও যেন নতুন করে ফিরে পেলো টিম বাংলাদেশ।