রোমাঞ্চ ছড়ানো ওভাল টেস্টে ভারতের ৬ রানের জয়!

ম্যাচ শেষে ভারতের খেলোয়াড়দের উদযাপন
ম্যাচ শেষে ভারতের খেলোয়াড়দের উদযাপন | ছবি: ইএসপিএন ক্রিকইনফো
0

টেস্ট ক্রিকেটের সেই চিরায়ত সৌন্দর্যই আবার দেখা গেল ওভাল টেস্টে। ইংল্যান্ডকে ৬ রানে হারিয়ে ম্যাচ জিতেছে ভারত। অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার সিরিজের শেষ টেস্টের শেষ দিনে দেখা গেলো ক্রিকেটের ধ্রুপদী এক লড়াই। যেখানে ইংল্যান্ডকে ৬ রানে হারিয়ে ম্যাচ জিতেছে ভারত। ৫ম দিনে মাত্র ৩৫ রান দরকার ছিল ইংল্যান্ডের। ভারতের দরকার ছিল ৪ উইকেট। রোমাঞ্চ ছড়ানো সেই দিনে নায়ক হয়ে সফরকারী ভারতকে ম্যাচ জেতান মোহাম্মদ সিরাজ।

১৯৮৪ সালে ম্যালকম মার্শাল এসেছিলেন এক হাতে ব্যান্ডেজ নিয়ে। খেলেছিলেন ৮ বল। ১৯৮৬ সালে ফয়সালাবাদেও একইভাবে এসেছিলেন সেলিম মালিক। ওয়াসিম আকরামকে নিয়ে খেলেছিলেন ১৪ বলের ইনিংস। 

২০০৯ সালে সিডনিতে এক হাতে ব্যাট নিয়ে মাঠে নেমে সাহসিকতা দেখিয়েছিলেন গ্রায়েম স্মিথ। সিডনিতে রীতিমতো তিনি আলোড়ন ফেলেছিলেন সেদিন। এদের মধ্যে কেউ সফল হয়েছেন, কেউ ব্যর্থ।

২০২৫ সালে এসে একইভাবে ক্রিজে নেমে ক্রিস ওকস অবশ্য ব্যর্থ তালিকাতেই নাম লিখিয়েছেন। ওভালে ম্যাচ বাঁচানোর তাগিদে ভাঙা হাত নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন তিনি। 

তবে এদিন নায়ক কেবল-ই মোহাম্মদ সিরাজ। ওভাল টেস্টের ৫ম দিনে তার ৩ উইকেট টিম ইন্ডিয়াকে এনে দিয়েছে ৬ রানের রোমাঞ্চকর এক জয়। 

সবচেয়ে কম রানের ব্যবধানে ভারতের এই জয় রয়েছে ৬ষ্ঠ স্থানে। এর মাধ্যমে অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার সিরিজটাও শেষ হলো ২-২ সমতায়।

ওভালে এর আগে কেউই ২৬৩ রানের বেশি রান তাড়া করে ম্যাচ জেতেনি। ইংল্যান্ড সেই অসম্ভব কাজটা প্রায় করেই ফেলেছিল। আগের দিন জো রুট আর হ্যারি ব্রুকের সেঞ্চুরি স্বাগতিকদের নিয়ে যায় জয়ের কাছাকাছি। 

শেষদিনে দরকার ছিল ৩৫ রান, হাতে ছিল ৪ উইকেট। এমন অবস্থায় পিচে যেন আগুন ঝরালেন মোহাম্মদ সিরাজ। দিনের শুরুতে নিজের প্রথম দুই ওভারেই পেয়েছেন ২ উইকেট। সেটাই ইংল্যান্ডকে ফেলে দেয় বিপাকে। 

যদিও তখনও জেমি ওভারটন এবং গাস অ্যাটকিনসন ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে দেয়নি স্বাগতিকদের।

কিছুক্ষণের জন্য স্পটলাইট নিজের ওপর নিয়েছিলেন ক্রিস ওকস। দলের জন্য এক হাত ব্যান্ডেজ নিয়েই মাঠে নামেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটে চতুর্থবার দেখা গেলো এক হাতে ব্যাটিংয়ে নামছেন কোনো ক্রিকেটার। 

যদিও শেষ পর্যন্ত জয় এনে দিতে পারেননি ওকস। পুরো সিরিজে সবচেয়ে বেশি বল করেছেন সিরাজ। শেষটাও করেছেন তিনিই। পুরো ম্যাচে ৯ উইকেট শিকারের সুবাদে ম্যাচসেরার পুরস্কারও গেছে তার ঝুলিতে।

এসএইচ