আসরের আগেই পৃষ্ঠপোষক পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী পেশাদার লিগ কমিটি

0

দিনক্ষণ ঠিক হলেও স্পন্সর চূড়ান্ত হয়নি বিপিএল ফুটবল ও ফেডারেশন কাপের। তবে, আসর মাঠে গড়ানোর আগে পৃষ্ঠপোষক পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান। এদিকে, ঘরোয়া ফুটবলের জায়ান্ট শেখ জামাল আর শেখ রাসেল না খেললেও ক্লাব ফুটবল সংকটে পড়বে না বলে দাবি বাফুফে কর্তার।

দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে ঘরোয়া ফুটবলেও। ক্ষমতার পালাবদলে অনেক ক্লাবের ভবিষ্যতই অনিশ্চয়তার দোলাচলে। যে কারণে দল গোছাতে হিমশিম খেয়েছে অধিকাংশ ক্লাব। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাফুফের পেশাদার লিগ কমিটি একটু দেরি করেই মৌসুম শুরু করতে যাচ্ছে।

৪ অক্টোবর মৌসুম শুরুর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হলেও ক্লাবগুলোর দাবির মুখে সেটাকে এক সপ্তাহ পেছানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাফুফে। যদিও চাওয়া ছিল ছয় সপ্তাহ পেছানোর।

কাগজ-কলমের হিসেবে আসর মাঠে গড়াতে আর এক মাসও বাকি নেই। অথচ এখন অবধি চূড়ান্ত হয়নি স্পন্সর। যদিও শিগগিরই পৃষ্ঠপোষক পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বাফুফে পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান।

চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান বলেন, ‘লীগের জন্য আমরা এখনো স্পন্সর ফাইনাল করতে পারিনি। যেহেতু একটা পরিবর্তিত পরিস্থিতি। সবাই একটু সময় চাচ্ছে। আমরা বেশ কিছু করপোরেট হাউজের সঙ্গে কথা বলছি। কিছুদিনের মধ্যে আমরা লিড স্পন্সর সম্পর্কে ঘোষণা দিতে পারবো।’

স্পন্সর ছাড়া বিপিএল মাঠে গড়ানোর নজির অবশ্য আছে। সেটা ২০০৭ সালে। তারপর থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান লিগের পৃষ্ঠপোষক হয়েছে। তবে, লম্বা সময়ের জন্য কেউই থাকেনি। এবার বড় দুটি টুর্নামেন্টের স্পন্সর ব্যবস্থা না হলেও প্রথমবার হতে যাওয়া এক ম্যাচের চ্যালেঞ্জ কাপের রূপরেখা প্রায় চূড়ান্ত।

বাফুফে পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ কাপে স্পন্সর থাকবে। আমাদের প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন। স্পন্সরের অনুরোধে এই মুহূর্তে আমরা নামটা প্রকাশ করছি না।’

এদিকে, নতুন মৌসুমে বেশিরভাগ ক্লাবেই বিদেশি ফুটবলারের উপস্থিতি তুলনামূলক কম। ঢাকা আবাহনীর মতো ক্লাব আবার দেশিদের ওপরই আস্থা রেখেই মৌসুম শুরু করবে। তাছাড়া ঘরোয়া ফুটবলে এক সময় রাজত্ব করা শেখ জামাল আর শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের মতো ক্লাব এবারের আসরে খেলছে না। তারপরও এবারের মৌসুমকে সাদামাটা বলতে নারাজ লিগ কমিটির চেয়ারম্যান।

ইমরুল হাসান বলেন, বিদেশী প্লেয়ার না থাকলে যে লিগ সাদামাটা হবে আমি এ কথায় বিশ্বাসী না। যেহেতু একটা পরিবর্তিত পরিস্থিতি এসেছে। দুই একটা ক্লাব অংশগ্রহণ নাও করতে পারে বা তাদের কোনো সমস্যা আছে। তবে আমার মনে হয় না এতে বাংলাদেশের ফুটবলে কোনো সংকট তৈরি হবে।’

তবে, তার চাওয়া দ্রুতই মাঠের খেলায় ফিরে আসুক পুরোনো দুই ক্লাব।

তিনি বলেন, ‘আমরা স্বভাবতই চাইব কোনো ক্লাব যেন ফুটবল থেকে হারিয়ে না যায়।’

এএইচ