গোলের পর গোল, মাঠে একচেটিয়া দাপট। বাংলাদেশ নারী দলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে উল্লসিত লাল-সবুজের সমর্থক থেকে শুরু করে বাফুফে কর্তাব্যক্তিরা।
বাফুফে নির্বাহী সদস্য শাখাওয়াত হোসেন শাহিন বলেন, ‘আমার দেশের মেয়েরা ভালো রেজাল্ট করছে। এতে আমরা খুশি। আশা করি ভবিষ্যতে আরও উপরে যাবে। আরও ভালো খেলবে।’
ভক্তদের একজন বলেন, ‘তাদের জয় মানে আমাদের বাংলাদেশের জয়।’
৯-১ গোলের বড় ব্যবধানে জয়ের দিনেও এক গোল হজম করায় অসন্তুষ্টি ঝড়েছে কোচ ও নারী উইং চেয়ারম্যানের কণ্ঠে।
বাফুফে নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘একটা গোল খেয়েছে। সেটা চাইনি। তবে খেলাতো হতেই পারে। আমাদের মেয়েদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা থাকলো।’
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ২০ ফুটবল দলের হেড কোচ পিটার বাটলার বলেন, ‘আমরা নয় গোল দিয়েছি ঠিকই কিন্তু যে গোলটি হজম করেছি তা উচিত হয়নি। পুরোপুরিই আমাদের ভুলে এমনটি হয়েছে। বড় ব্যবধানে জিতলেও আমার মূল লক্ষ্য ছিল টিম কম্বিনেশন পরখ করে দেখা।’
প্রত্যাশিত জয় পেলেও, মাঠের বাইরে দৃশ্যটা ছিল ঠিক উল্টো। গ্যালারির একাংশে ফাঁকা সিট আর নীরবতা। এমনকি টিকিট কাউন্টার খোলাও হয়েছে আড়াই ঘণ্টা দেরিতে। ছিল না পর্যাপ্ত প্রচারণা। এ নিয়ে কি ভাবছেন দর্শকরা?
দর্শকদের একজন বলেন, ‘প্রচার করেন। কারণ ফুটবলটা আমাদের। আমরা স্টেডিয়ামে এসে যখন ভরা দেখবো তখন আমি খুশি হবো।’
দর্শকদের আরেকজন বলেন, ‘টিকিটের জন্য দেড় ঘণ্টা ওয়েট করেছি।’
দর্শকদের অভিযোগ ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে যেন পাসিং গেম বাফুফে কর্মকর্তাদের।
বাফুফে নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘এইটা আসলে মার্কেটিংয়ের কাজ। সেটা আমি বলতে পারবো না তারা কি করেছে।’
জয় হলো, গোলও হলো। কিন্তু গ্যালারির শূন্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছ, তুলছে সত্যিই কি আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি নারী ফুটবলারদের? মাঠের নায়করা লড়ছেন প্রাণপণে, কিন্তু গ্যালারি তখনও যেন অপেক্ষায় আরও প্রচার-প্রচারণার।