সেপ্টেম্বরের শুরুতে ফিফা উইন্ডোতে নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। কাঠমান্ডুর সেই সফর সামনে রেখে এরইমধ্যে অনুশীলন শুরু করেছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। তবে প্রাথমিক দলে ২৪ সদস্য থাকলেও প্রথমদিন ১২ জন নিয়ে ক্লোজ ডোর অনুশীলন করেছেন কোচ। পূর্ণ দল নিয়ে কোচের পরিকল্পনায় বাগড়া দিয়েছে বসুন্ধরা কিংস।
মূলত এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের ম্যাচ থাকায় আবাহনীর ৮ খেলোয়াড় এবং বসুন্ধরা কিংসের ১০ ফুটবলার ছাড়াই বুধবার মাত্র ৬ জনকে নিয়ে ক্যাম্প শুরু করে বাফুফে। তবে অনুশীলনের প্রথম দিন জাতীয় স্টেডিয়ামে আবাহনীর ৮ ফুটবলার যোগ দিলেও দেখা যায়নি বসুন্ধরা কিংসের কোনো খেলোয়াড়কে।
এ নিয়ে জানতে চাইলে দলের ম্যানেজার জানান, অনুশীলন শুরুর মাত্র ঘন্টাখানেক আগে চিঠি দিয়ে খেলোয়াড়দের ছাড়পত্র না দেয়ার কথা জানিয়েছে ক্লাবটি।
বাংলাদেশ ফুটবল দলের ম্যানেজার আমের খান বলেন, ‘ফুল টিম না হলে তো আমরা স্যাটিসফাইড হতে পারিনা। তারপরও সবাই আমরা একসঙ্গে আছি। তাই যেভাবে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আনা যাবে, আমরা রেডি ছিলাম হয়ত বসুন্ধরার প্লেয়াররা আসছে। যখন চিঠি পেলাম তখন জানতে পেরেছি।’
কিংসের এমন আচরণে বাফুফের অবস্থান কঠোর নাকি নমনীয় হবে, তা জানতে চাইলে দলের ম্যানেজারের সোজাসাপ্টা উত্তর। কবে নাগাদ খেলোয়াড়দের ছাড়পত্র দেবে বসুন্ধরা কিংস, তা জানতে ক্লাবটির সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হতে হয়েছে বলে জানান দলের ম্যানেজার।
আমের খান বলেন, ‘আমাদের কমিটি প্লাস কোচ যিনি আছেন সেরকমভাবেই সিদ্ধান্ত নেবে।’
এদিকে নেপাল ম্যাচের আগে হামজা চৌধুরীকে দলে পাওয়ার বিষয়ে এখনও আশা ছাড়েনি ফেডারেশন। আগামী ৬ এবং ৯ সেপ্টেম্বর কাঠমান্ডুতে ফ্রেন্ডলি ম্যাচ দুটি হওয়ার কথা রয়েছে।