তখন ঘড়িতে রাত ২টারও বেশি সময়। শিশু থেকে বুড়ো বিমানবন্দর এলাকায় হাজার হাজার মানুষের অপেক্ষা। এ অপেক্ষা কয়েকদিন বা কয়েক ঘণ্টার নয়। এটা যে ১৪ বছরের তীব্র আকাঙ্ক্ষা পূরণের একটি রাত। ২০১১ সালে কলকাতায় এক প্রীতি ম্যাচে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ১-০ গোলের জয়ে অংশগ্রহণের পর এটি তার দ্বিতীয় ভারত সফর। অবশেষে নির্ঘুম ভক্তদের সেই প্রতীক্ষার অবসান হলো। মধ্যরাতে মেসি বিমান থেকে নামতেই সমর্থকদের চিৎকার এবং জয়ধ্বনিতে কেপে উঠলো বিমানবন্দর চত্বর।
কাছ থেকে একবার ফুটবল বিশ্বের নক্ষত্রকে দেখতে অধীর আগ্রহে শুধু ভারতের মানুষ নয়, দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে ভিড় করেছেন অনেক মেসি ভক্ত।
আরও পড়ুন:
গোটা ইন্ডিয়া ট্যুরে এ উন্মাদনার সাক্ষী হতে মেসির সঙ্গে ভারতে এসেছেন তারই দীর্ঘদিনের সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ এবং রদ্রিগো ডি পল।
বিমানবন্দর থেকে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় নিয়ে যাওয়া হয় সরাসরি হোটেলে। তবে সকাল থেকে ব্যস্ত হয়ে পড়েবেন এলএমটেন। দ্বিতীয়বারের মতো কলকতায় আসা মেসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ভিআইপি অতিথিসহ আসবেন আয়োজকদের আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথি। এরপরই ৭০ ফুট উচ্চতার তৈরি নিজের ভাস্কর্যের উদ্বোধন করবেন তিনি।
তবে সেটি অনলাইনে। দিনের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ থাকবে সন্ধ্যায়। যুবভারতী স্টেডিয়ামে একটি প্রীতি ম্যাচে অংশ নেবেন বিশ্বকাপজয়ী এ অধিনায়ক। সেখানে ভক্তদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার আনুষ্ঠানিকতা রেখেছে আয়োজকরা।
এ পর্ব দিয়েই কলকতার ব্যস্ততার ইতি টানবেন বিশ্ব ফুটবলের ক্ষুদে জাদুকর।





