কদিন আগেই দেশের হয়ে এনে দিয়েছেন পদক। খেলার ধারায় থেকে এসএ গেমসেও পদকের প্রত্যাশায় ছিলেন টেবিল টেনিসের জুটি জাভেদ এবং খই খই। জাপানে এশিয়ান গেমসের প্রস্তুতির মঞ্চও ছিল সেটিই। কিন্তু এসএ গেমস স্থগিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে গিয়েছে টিটির ক্যাম্পও। ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে পদকজয়ী দুই তারকার কণ্ঠে তাই হতাশা।
শুধু খই খই আর জাভেদ না। হতাশা নেমে এসেছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অন্যান্য ইভেন্টেও। সাঁতার ফেডারেশন বাড়তি ব্যয় এড়াতে এরইমাঝে বিদায় জানিয়েছে কোচ সাঈদ ম্যাকডিকে। বন্ধ রয়েছে সাঁতারের যাবতীয় প্রস্তুতি। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শাহীন জানালেন, খরচ বিবেচনায় এখন চালু হচ্ছে না ক্যাম্প।
আরও পড়ুন:
সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শাহীন বলেন, ‘আমাদের যে পানিটা ফিল্টারেশন করতে হয়, এ ফিল্টারেশন করতে গেলে দেখা যায় আমাদের ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা খরচ হয়ে যায়। এটা আমাদের পক্ষে করা একটু টাফ। এ মুহূর্তে যদি বড় আন্তর্জাতিক কোনো টুর্নামেন্ট থাকে; তাহলে আমরা হয়তো নেক্সট প্র্যাকটিসটা করার পরিকল্পনা করবো এবং সেরকম প্রস্তুতি আমাদের আছে।’
ক্যাম্প বন্ধ আছে বক্সিং ফেডারেশনেও। যদিও সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস খান জানালেন, ব্যক্তিগত উদ্যোগে চালু আছে খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ। তবে, আরও একটা আন্তর্জাতিক সূচির আগে চিরায়ত ক্যাম্পের সম্ভাবনা নেই বলেই জানালেন তিনি।
বক্সিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস খান বলেন, ‘যখন এ ধরনের একটা গেম হয় তখন একত্রিত হই। এছাড়া আমাদের চিঠি দেয়া থাকে সব সংস্থাকে যাতে প্র্যাকটিস চালিয়ে যেতে থাকে। ফেডারেশন তো নিশ্চয় মনিটরিং করে, দিক-নির্দেশনা দেয় তারাও আমাদের সাথে আলোচনা করে।’
ব্যাডমিন্টনের সাধারণ সম্পাদক রাসেল কবির সুমনের কণ্ঠেও এসএ গেমস বন্ধের হতাশা। জানালেন, গেমস বন্ধের পর কোচকেও বিদায় করতে বাধ্য হয়েছে ফেডারেশন।
ব্যাডমিন্টনের সাধারণ সম্পাদক রাসেল কবির সুমন বলেন, ‘এসএ গেমসে আমরা করেছি তিন মাস ধরে এবং আমরা একজন ফরেইন কোচ নিয়ে এসেছিলাম ইন্দোনেশিয়া থেকে। আনক্সেপেক্টেড বন্ধের ফলে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে।’
গেমস নির্ভর ক্যাম্প সূচির প্রবণতায় আপাতত দেশের ক্রীড়াঙ্গনে চলছে স্থবিরতা। প্রচেষ্টা থাকলেও আর্থিক ইস্যুতে নিজেদের কার্যক্রম গুটিয়ে রাখতে বাধ্য তারা ফেডারেশন কর্তা। মাঠে খেলা ফেরাতে এখন নতুন সূচির ওপরে নির্ভর করতে হচ্ছে তাদের।





