
শরীয়তপুরে ভাঙনের কবলে তীরবর্তী মানুষ, ভিটেমাটি ছাড়া তিন শতাধিক পরিবার
শরীয়তপুরে পদ্মা-মেঘনার ভাঙনে দিশেহারা তীরবর্তী মানুষ। এক মাসে ভিটেমাটি হারিয়েছে তিন শতাধিক পরিবার। হুমকিতে রয়েছে হাট-বাজার, বসতবাড়ি, রাস্তাসহ প্রায় ১৮শ' স্থাপনা। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেললেও তা টিকছে না।

পদ্মার ভাঙনে জাজিরায় আশ্রয়হীন ২৬ পরিবার
শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা নদীর ভাঙনে আশ্রয়হীন ২৬টি পরিবার। ভাঙন থামলেও আতঙ্ক কাটেনি ভাঙন কবলিতদের মাঝে। ঘর-বাড়ি সরিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন নিরাপদ স্থানে। বৈরী আবহাওয়া ভোগান্তি বাড়িয়েছে তাদের। পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরি ভাবে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ শুরু করেছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙন কবলিতদের মাঝে নগদ টাকা, টিন ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

ভাঙন ঠেকাতে নদীর বালু; উল্টো বিপদ ডেকে আনছে প্রকল্প
নদী ভাঙন ঠেকাতে নদীর তীরে জিও ব্যাগ ফেলার একটি প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। কিন্তু ভাঙন ঠেকানোর জন্য তীরে ফেলা জিও ব্যাগগুলো ভর্তি করা হচ্ছে সেই নদীর বালু দিয়েই। এভাবে কি আদৌ নদীর ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব? এ যেন কইয়ের তেলে কই ভাজা। এমন ঘটনা ঘটছে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ছোট ফেনী নদীতে। এতে নদী ভাঙন আরও বহুগুণ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় স্থানীয়রা।

নদী ভাঙনে আশ্রয়হীন দুই শতাধিক পরিবার, খুঁজছেন মাথা গোঁজার ঠাঁই
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নোটিশ পেয়ে শরীয়তপুরের জাজিরায় নদী ভাঙনের শিকার দুই শতাধিক পরিবারের দিন কাটছে অনিশ্চয়তায়। গেল বছর পদ্মার ভাঙনের কবলে পরিবারগুলো আশ্রয় নিয়েছিল বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের অধিগ্রহণ করা জমিতে। কিন্তু সেতু কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম ব্যহত ও পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা বিবেচনায় জমি ছাড়ার নোটিশে দুশ্চিন্তায় পরিবারগুলো। তাই সর্বহারা মানুষগুলোর দাবি তাদের মাথা গোঁজার ঠিকানা ব্যবস্থা করবে প্রশাসন।

ফরিদপুরে নদী ভাঙনের আতঙ্কে তীরবর্তী এলাকার মানুষ
ফরিদপুরে নদী ভাঙনের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে খালাসিডাঙ্গি গ্রামের মানুষরা। ফরিদপুরের সদরপুর, চরভদ্রাসন ও সদর উপজেলার পদ্মা নদী বেষ্টিত ইউনিয়নগুলোতে তীব্র আকার ধারণ করেছে ভাঙন। নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, পাকা সড়ক। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তীরবর্তী এলাকার মানুষজন। ভাঙনরোধে প্রকল্প প্রণয়ন করে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীতে তীব্র ভাঙন: আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ
উজানের ঢল, অতিবৃষ্টি আর প্রবল স্রোতে নদীতে পানি বাড়ার সাথে সাথে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার পদ্মা নদীতে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। গেল এক সপ্তাহ ধরে উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের মুন্সিপাড়াসহ আশপাশের প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকায় এ ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি, হুমকির মুখে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বসতভিটা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ পদ্মা নদী প্রতিরক্ষা বাঁধ। নির্ঘুম ও আতঙ্কে দিন কাটছে নদীপাড়ের দশ হাজার মানুষের।

ফেনীতে আগ্রাসী নদীভাঙন; ঘরবাড়ি হারিয়ে দিশেহারা তীরবর্তী মানুষ
চলতি বর্ষায় আগ্রাসী রূপে ফেনীর নদীগুলো। বিস্তীর্ণ এলাকা ভয়াবহ নদী ভাঙনের কবলে। ঘরবাড়ি হারিয়ে দিশেহারা তীরবর্তী মানুষ। যদিও পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, প্রকল্পের কাজ দ্রুতই শুরু হবে।

নদীতীরে চলছে বাঁধ নির্মাণ, স্থায়ীত্ব নিয়ে সংশয়
প্রতি বছরই ছোট হয়ে আসছে ভোলার মানচিত্র। ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয় শত শত পরিবার। প্রতি বর্ষাতেই দ্বীপ জেলাটির এমন চিত্র দেখা যায়। এবারও নদীর তীর থেকে বালু তুলে, ঠিক সেই তীরেই চলছে বাঁধ নির্মাণের কাজ। যদিও কাজের স্থায়ীত্ব নিয়ে আছে অভিযোগ। ফলে নতুন নতুন প্রকল্প নেয়া হলেও সমাধানটা থেকে যাচ্ছে ধোঁয়াশায়। প্রশ্ন থেকেই যায়, প্রকল্পের নামে এই বিশাল ব্যয় কি সত্যিই নিরাপত্তা দিচ্ছে?

নদীভাঙনে বিপর্যস্ত জামালপুরের হাজারো মানুষ
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ ও মাদারগঞ্জে যমুনা নদীর বাম তীরে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। অসময়ের ভাঙনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নদীপাড়ের হাজারো মানুষ। দেড় মাসে বিলীন হয়েছে ৬ কিলোমিটার অংশের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদসহ অসংখ্য ঘরবাড়ি আর ফসলি জমি। জরুরিভাবে কিছু জিও ব্যাগ দিয়ে ডাম্পিং করা হলেও টেকেনি এক দিনও। এ ছাড়া গত ৫ বছরে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ কিলোমিটার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণসহ বেশ কিছু প্রকল্প চলমান থাকলেও মেলেনি সুফল।

অবৈধ বালু উত্তোলনে ফেনীতে বাড়ছে নদী ভাঙন
ফেনীতে অবাধে চলছে নদী থেকে বালু উত্তোলন। এতে বাড়ছে নদী ভাঙন। এজন্য প্রভাবশালী সিন্ডিকেটকে দুষছেন স্থানীয়রা। বলছেন, এভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে নদীতে বিলীন হয়ে যাবে ঘরবাড়ি।

অব্যাহত নদী ভাঙনে ছোট হয়ে আসছে দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া
অব্যাহত নদী ভাঙনে ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া। প্রতিবছর বসতভিটা হারিয়ে চরাঞ্চলে মানবেতর জীবনযাপন করছে হাজারো পরিবার। যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই ভাঙন ঠেকাতে কার্যকর উদ্যোগ না থাকায় হতাশ দ্বীপবাসী। দ্রুত টেকসই বাঁধ না দিলে বিশাল ভূখণ্ড বিলীনের শঙ্কা স্থানীয়দের।

নদী ভাঙনে নিঃস্ব ঝালকাঠির শতাধিক পরিবার
বছরের পর বছর নদী ভাঙনে নিঃস্ব হচ্ছেন ঝালকাঠির শতাধিক পরিবার। গত ২৫ বছরে দফায় দফায় বসতভিটা বদলাতে হয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের। বন্যা পরবর্তী সময়ের ভাঙনে এসব পরিবারের চোখে-মুখে এখন ভিটেমাটি হারানোর ভয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ভাঙন রোধে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কিছু কাজ হাতে নেয়া হয়েছে।