পটুয়াখালীতে ভাঙছে বেড়িবাঁধ, পানি বৃদ্ধিতে স্থানীয়রা হারাচ্ছেন ভিটেমাটি

বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের ভিটেমাটি
বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের ভিটেমাটি | ছবি: এখন টিভি
0

বর্ষার শুরুতেই পটুয়াখালীর বিভিন্ন নদ-নদীতে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে পানি। এতে ধারাবাহিকভাবে ভাঙছে বেড়িবাঁধসহ স্থানীয়দের ভিটেমাটি। জমির ফসল রক্ষা ও নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানের দাবি ভুক্তভোগীদের। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, ভাঙন রোধে জরুরিভাবে কাজ করা হচ্ছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দিন দিন বাড়ছে নদ-নদীর পানির উচ্চতা। গতিপথ পরিবর্তনে তীব্র স্রোতে ধারাবাহিকভাবে ভাঙছে নদীর তীরসহ বেড়িবাঁধ।

সম্প্রতি নিন্মচাপ ও অমাবস্যার প্রভাবে ফুসে ওঠা নদীর পানিতে পটুয়াখালী সদর, দুমকি, গলচিপা, দশমিনা, মির্জাগঞ্জসহ আশপাশের ৩৮০ মিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধান না হওয়ায় লোহালিয়া, মুরাদিয়ায় নতুন করে বেড়িবাঁধ ভাঙার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এতে ঘর-বাড়ি, গবাদি পশু ও শত একর জমির আমন ধান ও সবজি খেত বিলীন হবার শঙ্কায় স্থানীয় কৃষকরা।

আরও পড়ুন:

স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে একজন বলেন, ‘১০০ একর জমি প্লাবিত হয়েছে, পুকুরের মাছও চলে গেছে। এখন এই বেড়িবাঁধ স্থায়ীভাবে না হলে আমাদের অস্তিত্ব থাকবে না। আমরা খুব কষ্টে আছি।’

স্থানীয় এক নারী বলেন, ‘ঘর-বাড়ি সব তলিয়ে গেছে। এখন রাস্তায় উঠে আমাদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। মানুষের সব জায়গা-জমি তলিয়ে যাচ্ছে।’

এদিকে পাউবো বলছে, জরুরিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের সংষ্কার কাজ শুরু হয়েছে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে সমীক্ষা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

পটুয়াখালী পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছি। কাজ চলমান রয়েছে এবং অতিশিগগিরই কাজটি সমাপ্ত হবে। স্থায়ী প্রকল্প নেয়ার জন্য আমাদের ওখানে একটা স্টাডি করতে হবে এবং সেই স্টাডির ওপর নির্ভর করে প্রকল্প প্রণয়ন করতে হবে। প্রকল্প অনুমোদনের পরে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া যাবে।’

স্থানীয়দের জানমাল রক্ষায় সঠিক গবেষণার মাধ্যমে নদী ভাঙ্গন রোধে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

এসএইচ