
সুন্দরবনের নোনা পানির নীচে মিললো মিঠা পানির সন্ধান
বিশ্বজুড়ে উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ত পানি জনজীবন ও মিঠাপানির সম্পদের জন্য এক ক্রমবর্ধমান হুমকি। পাশাপাশি রয়েছে নদীতে লবণাক্ততার বিস্তার। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এর সঙ্গে যুক্ত হয় আর্সেনিক দূষণ। আমাদের দেশে বিশেষ করে সুন্দরবন সংলগ্ন খুলনা অংশের প্রায় মানুষই ভোগেন পানি নিয়ে, বিশেষ করে নিরাপদ পানি নিয়ে। অবশেষে এ অঞ্চলের মানুষ ও প্রাণ প্রকৃতির জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে একটি আন্তর্জাতিক গবেষক ও বিজ্ঞানী দলের গবেষণা। গত (শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর) ইন্টারন্যাশনাল সাইন্স ম্যাগাজিন নেচার কমিউনিকেশনসে প্রকাশিত তাদের গবেষণায় জানা গেছে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে নোনা পানির নীচে রয়েছে মিঠা পানির দুইটি বিশাল স্তর।

বরিশালে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনে দেবে গেছে মাটি, হুমকিতে জনস্বাস্থ্য-কৃষি
গত চার বছরে বরিশালের মাটি চার সেন্টিমিটার দেবে গেছে। অতিরিক্ত মাত্রায় ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের ফলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন। এদিকে, উপকূলীয় এলাকা হওয়ায় ভূগর্ভস্থ পানির ওই জায়গা দখলে নিচ্ছে লবণাক্ত পানি। এতে জনস্বাস্থ্য ও কৃষি পড়েছে হুমকির মুখে। এতে স্থানীয় অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।

জলবায়ু উদ্বাস্তুদের অবহেলিত দ্বীপ উড়িরচর, ক্ষতিগ্রস্ত ৪০ হাজার মানুষ
প্রমত্ত মেঘনা আর বঙ্গোপসাগরের বিশাল জলরাশির মাঝে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের অবহেলিত এক দ্বীপ-উড়িরচর। যেখানে আশ্রয় নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত ৪০ হাজার মানুষের। যেখানে এখনো নদী ভাঙ্গন, প্রতিকূল আবহাওয়া বা লবণাক্ত পানি তাদের ঠেলে দেয় বেঁচে থাকার নিত্য সংগ্রামে। অথচ একটি ক্রস ড্যাম বা অবকাঠামো উন্নয়নে দেশের অর্থনীতিতে এক উজ্জ্বল নাম হতে পারতো কৃষি, মাছ ও কাঁকড়ায় সমৃদ্ধ এই জনপদ।