কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌরসভার ৫ নম্বর বরাদিয়া ওয়ার্ডে বিঘা বিঘা জমিতে হচ্ছে লেবুর চাষ। এসব বাগানে দোল খাচ্ছে কাঁচা-পাকা লেবু।
বরাদিয়া গ্রামের লেবু চাষি, আমিনুল ইসলাম হারিস মিয়া। প্রথমে শখের বসে নিজে খাওয়ার জন্য লেবু গাছ লাগালেও এখন করছেন বাণিজ্যিক চাষাবাদ। গত বছর রমজান মাস থেকে এখন পর্যন্ত লেবু বিক্রি করে লাভ করেছেন কয়েক লাখ টাকা ।
আমিনুল ইসলাম জানান, ফলন ভালো হয়েছে। রমজান মাস থেকে এ পর্যন্ত ৩ থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকার লেবু বিক্রি হয়েছে।
শুধু বরাদিয়া গ্রামেই প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে বছরজুড়ে লেবুর চাষাবাদ হচ্ছে। আমিনুল ইসলামের দেখাদেখি বহু কৃষক আর উদ্যোক্তা লেবু চাষ করে লাভবান হয়েছেন।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, ২০ হাজার টাকার মতো খরচ করলে দেড় লাখ টাকার মতো লেবু বিক্রি হয়। এটা যেকোনো সময় বিক্রি করা যায়। অন্য ফসলের থেকে লেবু চাষে লাভ বেশি হয় বিধায় কৃষকরা লেবু চাষে বেশি ঝুঁকছেন।
আরও পড়ুন:
লেবু চাষে নিয়মিত উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে কৃষকদের, আর পরামর্শের পাশাপাশি কৃষকরা যাতে লেবুর সঠিক দাম পায় তা নিয়েও কাজ করছে বলে জানান কৃষি বিভাগ।
কটিয়াদি উপজেলার উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষি বিভাগ থেকে আমার সবসময় কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ দিয়ে থাকি। যেসকল কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন তাদের দেখে বাকি কৃষকরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।’
কটিয়াদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ভূঞা বলেন, ‘কীভাবে বেশি পরিমাণ ও উন্নত জাতের লেবু উৎপাদন করা যায় এ বিষয়ে কৃষকদের সবসময় পরামর্শ দিয়ে থাকি। ফলে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। এ গ্রামে অসময়ে লেবু উৎপাদন হয়। ফলে অন্যান্য সময়ের চেয়ে দাম বেশি পায় কৃষকরা।’
কিশোরগঞ্জের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জমিতে লেবু চাষাবাদ হচ্ছে কটিয়াদী উপজেলায়।