দিগন্তজোড়া হলুদ রঙে ঢাকা সরিষা ক্ষেত। এমন দৃশ্য পাবনার সদর, আটঘরিয়া ও চাটমোহর চলনবিল এলাকায়। সরিষা খেতের আইলে সারি সারি মৌ বাক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌ-চাষিরা।
সরিষা ফুলের মধু জেলার অন্যতম অর্থকরী পণ্য। দেশের চাহিদা মিটিয়ে এ মধু যাচ্ছে বিদেশে। প্রতি কেজি মধু বিক্রি হচ্ছে পাঁচশো থেকে ৬০০ টাকায়। কৃষকরা বলছেন, সরিষা খেতে মৌ বাক্স স্থাপনের কারণে ফুলে পরাগায়ন বাড়ছে। এর ফলে আগের তুলনায় ফসলের ফলনও বেড়েছে। গুণগত মান ভালো হওয়ায় ক্ষেত থেকেই মধু কিনে নিচ্ছেন অনেক ক্রেতা।
মৌ-চাষিরা জানান, মৌমাছিগুলো ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে। ফলে পরাগায়ন বৃদ্ধি পায়। এতে ফসলের ফলনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ মধুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এলাকাজুড়ে। জায়গায় বসেই তাদের মধু বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:
কৃষকরা জানান, মৌ চাষের ফলে তাদের আগের তুলনায় বেশি ফলন হচ্ছে। এতে তাদের লাভ হচ্ছে বলে জানান কৃষকরা।
সরিষা ফুল থেকে মধু উৎপাদনে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
পাবনা খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম প্রামানিক বলেন, ‘সরিষার উৎপাদন বৃদ্ধিতে মৌ বাক্স স্থাপন করলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। চাষিদের সহায়তায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যমতে, মৌসুমে জেলায় প্রায় ৪৯ হাজার ৪২ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। আর মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টন।





