গতকাল বুধবার (২১ মে) দিবাগত রাত ১টার দিকে আলমগীর নামে এক ব্যবসায়ীর কাপড়ের দোকানে প্রথম আগুন দেখতে পান স্থানীয়রা। মুহূর্তেই সেই আগুন আশপাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে স্থানীয় জনতা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে এর মধ্যেই মুদি, কাপড়, ওষুধ ও চায়ের দোকানসহ ৩০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ঘটনার খবর পেয়ে বাঘাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ূন কবির এবং বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বাঘাইছড়ি থানার ওসি হুমায়ূন কবির বলেন, ‘ফায়ারসার্ভিস না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়েছে। বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। পরে দীঘিনালা থেকে ফায়ারসার্ভিসের কর্মীরা পোঁছালে দেড় ঘণ্টা পরে পুরোপুরি আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে স্থানীয়ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ চলছে।’
জানা যায়, বাঘাইছড়ি উপজেলায় ২০১৮ সালে ফায়ার স্টেশন নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হলেও সাত বছরেও কাজ শুরু হয়নি। বারংবার অগ্নিকাণ্ডে জানমালের ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও স্থানীয় জনসাধারণ।