স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন জেলার সভাপতি ফাতেমা রহমান বীথি, দপ্তর সম্পাদক প্রেমা সরকার, পৌর কমিটির আহ্বায়ক আদিবা হুমায়রাসহ আরও অনেকে।
স্মারকলিপি প্রদানকালে ছাত্র ফেডারেশনের নেতারা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বলেন, ‘দীর্ঘ ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের ধারাবাহিকতায় জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনার দীর্ঘ শাসনে বাংলাদেশের সমস্ত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী দীর্ঘ এই লড়াইয়ে তাই রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরও জনগণের প্রধান এজেন্ডায় পরিণত হয়েছে।’
নেতারা বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর তাই আমরা দেখেছি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তুলতে সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। কিন্তু আমরা অত্যন্ত পরিতাপের সাথে লক্ষ্য করেছি শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারের লক্ষ্যে কোনো ‘সংস্কার কমিশন’ গঠন করা হয়নি। কিন্তু জাতি গঠনে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার গুণগত পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরি।’
তারা আরও বলেন, ‘আমরা ছাত্র ফেডারেশনের পক্ষ থেকে শিক্ষা খাতে এই বাজেটে (২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে) জিডিপির চার শতাংশ বরাদ্দ, কার্যকর সংস্কার ও শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবিতে সারাদেশে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের কাছ থেকে স্বাক্ষর সংগ্রহ ও শিক্ষা সংলাপের আয়োজন করেছি। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমাদের দাবিসমূহের পক্ষে তাদের নৈতিক জনসমর্থন প্রকাশ করেছে।’
এসময় নেতারা ছাত্র ফেডারেশন প্রস্তাবিত আশু ও দীর্ঘমেয়াদি দাবিগুলো বাস্তবায়নে সরকারের উদ্যোগী ভূমিকা প্রত্যাশা করেন।