চুয়াডাঙ্গার ৮টি হাটে কোরবানির পশুর বেচাকেনা চলছে। পশু বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মেও। কোরবানির ঈদ ঘিরে বড় আকারের গরু প্রস্তুত করেছেন চুয়াডাঙ্গার খামারিরা। তবে বিদেশি জাতের এসব গরু নিয়ে তেমন আগ্রহ নেই ক্রেতাদের।
বাজারে যেসব বড় সাইজের গরুর দেখা মেলে তার বেশিরভাগই চুয়াডাঙ্গা-কুষ্টিয়া অঞ্চলের। ঈদের মাস দেড়েক আগে থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে শুরু করেন ব্যাপারিরা। ছোট, মাঝারি গরুর পাশাপাশি বড় গরুর প্রতিও থাকে বাড়তি আকর্ষণ। তবে এবারের চিত্রটা ভিন্ন।
জেলার চার উপজেলার খামারে খামারিদের মুখে নেই হাসি। উল্টো চোখে-মুখে হতাশা আর শঙ্কা। তারা বলছেন, গরু বিক্রি না হলে বড় লোকসানে পড়তে হবে তাদের। বড় গরুর ডিমান্ড কম থাকায় তারা পর্যাপ্ত গরু বাজারজাত করতে পারছেন না। আর একটা বড় গরু ভালো অবস্থাসম্পন্ন মানুষ ছাড়া কোরবানি দিতে পারে না। এজন্য গরু বিক্রি করতে ও সমস্যা হচ্ছে।
তারা বলেন, ‘ঢাকায় নিয়ে আমরা বিক্রি করতে পারবো কি না আমাদের সন্দেহ আছে। নিয়ে গিয়ে বিক্রি করতে না পারলে তো আমাদের লস।’
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে, জেলায় কোরবানির জন্য প্রায় ২ লাখ পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। চাহিদার অতিরিক্ত সাড়ে ৭৪ হাজার পশু সরবরাহ করা হবে অন্যান্য জেলায়। যা ঘিরে বেচাকেনা হবে হাজার কোটি টাকা। যারা গ্রামে ৮/১০টি গরু পালে তারা কেউ একটা গরু ও বিক্রি করতে পারেনি। এরকম চললে আগামীতে অর্ধেকের বেশি খামার বন্ধ হয়ে যাবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রচারণা চালাচ্ছি এই এলাকায় গরু ভালো উৎপাদন হয়। আর যেহেতু ছোট গরুর চাহিদা বেশি। তাই আমরা খামারিদের পরামর্শ দিচ্ছি বড় গরুর দিকে না ঝুঁকতে।’