লোহা দিয়ে বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করে জীবিকা চালান নড়াইলের শিংগাশোলপুর বাজার এলাকার বেশ কিছু পরিবার। তাদের তৈরি জিনিসের খ্যাতি রয়েছে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায়।
এমন একজন কারিগর শোলপুর গ্রামের অলক কর্মকার। ঈদকে ঘিরে বেড়েছে তার ব্যস্ততা। চাহিদা বাড়ায় তৈরি করছেন ছুরি, চাপাতি, বটির মত গৃহস্থালি জিনিস।
অলক কর্মকার বলেন, ‘এখান থেকে তৈরি হয়ে বিভিন্ন জেলায় চলে যায়। আমার এখানে আমিসহ আরো তিনজন লোক আছে। আমরা এভাবেই জীবিকা নির্বাহ করছি।’
শুধু অলক কর্মকার নয়, জেলার প্রায় ৫ শতাধিক কামারশালায় ঈদকে সামনে রেখে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেড়েছে কাজের চাপ। তাই, ক্লান্তিহীন কাজ করছেন কামাররা। আকারভেদে বড় ছুরি ৪ শ’ থেকে ৫ শ’ টাকা পিস, ছোট ছুরি ৬০-৮০ টাকা পিস ও বটি ৪৫০-৫ শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।
তারা বলছেন, ‘সিজন অনুযায়ী জিনিসগুলো বেশি বানানো হয়। সারা দেশে আমাদের জিনিসগুলো বিক্রি হয়।’
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) জানালো, স্থানীয় কামারদের তৈরি পণ্যের মান বেশ ভালো। কামারদের উৎপাদিত পণ্যের প্রসারে বিসিক কাজ করছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের উপব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. সোলাইমান হোসেন বলেন, ‘কোরবানির সময় কামারদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। তাদের তৈরি পণ্য সারাদেশে বিক্রি হয়। তাদের এই পেশা যাতে টিকে থাকে এজন্য বিসিক সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে।’