ট্যানাররা পরিশোধ করছেন না বকেয়া, চামড়া ব্যবসায়ীরা পাচ্ছেন না কাঙ্ক্ষিত দাম

যশোরে চামড়ার ব্যবসা
যশোরে চামড়ার ব্যবসা | ছবি: সংগৃহীত
1

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বৃহত্তম চামড়ার মোকাম যশোরের রাজারহাট। এখানকার ঈদ-পরবর্তী প্রথম হাট জমেনি। এ হাটে ছাগলের চামড়া প্রতি পিস ৫ থেকে ২০ টাকা আর গরুর ২০০ থেকে ৯০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা দায়ী করছেন লবণ ও মজুরির দাম বৃদ্ধি হওয়া এবং ট্যানারি মালিকদের বকেয়া টাকা পুরোপুরি পরিশোধ না করাকে। এদিকে, চামড়া পাচার রুখতে সতর্ক অবস্থায় প্রশাসন।

রাজারহাট মোকামে খুলনা বিভাগের সব জেলা ছাড়াও ফরিদপুর, রাজশাহী, পাবনা, নাটোর এবং ঢাকার বড় বড় ব্যবসায়ীরা চামড়া বেচাকেনা করেন। ঈদ-পরবর্তী সময়ে তাই এ বাজারের দিকে নজর থাকে দেশের শীর্ষস্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ীদের। এসময়ে মোকামটিতে কোটি কোটি টাকার চামড়া বিক্রি হয়। তবে কয়েক বছর ধরে তার ব্যতিক্রম ঘটেছে। 

ব্যবসায়ীরা জানান, ঋণ নিয়ে চামড়া কিনে পরে বাকিতে ট্যানারি মালিকদের কাছে বিক্রি করলেও সময়মত টাকা পাওয়া যায় না। অন্যদিকে বেড়েছে লবণ ও মজুরির দাম। ফলে এ মৌসুমে চামড়া ক্রয় করতে সমস্যা হচ্ছে।

আজকের হাটে ছাগলের চামড়া প্রতি পিস ৫ থেকে ২০ টাকা আর গরুর চামড়া ২০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকার নির্ধারিত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া ক্রয় করলেও বাজারে এর অর্ধেক দামেও বিক্রি করতে পারছেন না। 

এতে প্রতি পিস চামড়াতে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা লস হচ্ছে। চামড়ার দাম এভাবে কমে যাওয়ায় হতাশ মোসুমি ব্যবসায়ীরা। এদিকে চামড়া পাচার রুখতে প্রশাসন সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন বলে জানিয়েছে বিজিবি।

রাজারহাটে প্রতি সপ্তাহে শনি ও মঙ্গলবার চামড়ার হাট বসে। এ হাটে ছোট-বড় সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মিলে প্রায় ২ শতাধিক আড়ৎ রয়েছে। এসব আড়তে ২ হাজার ব্যবসায়ী চামড়ার ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল হয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। তাই চামড়া শিল্পকে রক্ষায় সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া সময়ের দাবি।

এসএইচ