স্থানীয় সূত্র জানায়, হঠাৎ ঝড় শুরু হলে মুহূর্তেই কাঁচা ও সেমিপাকা মিলিয়ে ২১টি ঘর সম্পূর্ণ এবং ৩০টির মতো ঘর আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘরের ওপর ভেঙে পরে অসংখ্য গাছপালা। উড়ে গেছে বহু ঘরের টিনের চালা। গাছ ভেঙে পড়ায় বেশ কিছু বাড়ির সীমানা দেয়ালও বিধ্বস্ত হয়।
এতে নারী ও শিশুসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। ভেঙে গেছে দুটি বিদ্যুতের পিলার, ছিঁড়ে গেছে সংযোগ লাইন, ফলে পুরো এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। অন্ধকারে অনেকটা মানবতার জীবন যাপন করছেন তারা।
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত অনেক পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে উঠেছেন। তবে এখনও অনেকেই খোলা আকাশের নিচে রয়েছেন। তাদের জন্য জরুরি খাবার, কাপড় ও ঘর মেরামতের সহায়তা প্রয়োজন বলে জানা গেছে।
ঘটনার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিউদ্দিন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। আজ (শুক্রবার, ২০ জুন) সকালে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পুনর্বাসন ও অন্যান্য সহযোগিতা নিশ্চিত করা হবে।’