পটিয়ায় মহাসড়ক অবরোধে দুর্ভোগে জনসাধারণ

মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও ব্যারিকেড তৈরি করে যান চলাচল বন্ধ করে দেন শিক্ষার্থীরা
মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও ব্যারিকেড তৈরি করে যান চলাচল বন্ধ করে দেন শিক্ষার্থীরা | ছবি: এখন টিভি
0

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের মহাসড়ক অবরোধের কারণে দুর্ভোগে পড়েছে জনগণ। আজ (বুধবার, ২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পটিয়া বাইপাস এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা। এর আগে সকাল ১০টা ৪০ মিনিট থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পটিয়া থানার সামনে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাঙামাটি জেলা শাখার এক নেতাকে গ্রেপ্তার না করায় পুলিশের সাথে শিক্ষার্থীদের এই বিরোধ সৃষ্টি হয়।

ছাত্রলীগ নেতার গ্রেপ্তার চাইতে গেলে মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতে পুলিশের দুই দফা হামলা ও লাঠিচার্জের শিকার হন এনসিপির নেতাকর্মীরা। আহত হন অন্তত ১০ থেকে ১৫ জন নেতাকর্মী। এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ (বুধবার, ২ জুলাই) সকালে পটিয়া থানার সামনে অবস্থান নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপির নেতৃবৃন্দ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অপসারণের দাবিতে প্রায় দুইঘণ্টা সেখানে অবস্থান করেন তারা।

বেলা ১২ টার দিকে থানার সামনে থেকে সরে পটিয়া বাইপাস সড়কে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধরা। থানার ওসি অপসারণ ও লাঠিচার্জের ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালানোর হুশিঁয়ারি দেন তারা। এ সময় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও ব্যারিকেড তৈরি করে যান চলাচল বন্ধ করে দেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় তারা জানান, এটা ছিলো মূলত আমাদের বিভ্রান্ত করা। আমাদের বিভ্রান্ত করে তারা আমাদের অপ্রস্তুত করে ফেলে। অপ্রস্তুত করে আমাদের ওপর হামলা করা শুরু করে।

এ সময় সড়কের উভয়পাশে আটকা পড়ে শত শত যানবাহন। সৃষ্টি হয় কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট। চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। একই সাথে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষার্থীরাও।

এয়ারপোর্টগামী একজন যাত্রী জানান, রাতে আমার ফ্লাইট। আমি এখনো যেতে পারছি না। অপর একজন যাত্রী জানান, ভোগান্তি হচ্ছে। আমরা মালামাল নিয়ে চট্টগ্রাম যাবো, কিন্তু এখন আন্দোলনের জন্য দেরি হচ্ছে।

কর্মসূচিতে যোগ দেন চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা। যৌক্তিক কারণ ও কোন ধরনের উস্কানি ছাড়া এমন হামলাকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত দাবি করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন এনসিপি নেতারা।

গণতান্ত্রিক ছাত্রসংদের যুগ্ম আহ্বায়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই আজকে যদি আবারো হামলা করার দুঃসাহস দেখায় পুলিশ সদস্যরা তাহলে আমার সেটার প্রতিরোধ গড়ে তুলবো জুলাই এর মতো। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলতে চাই, যতক্ষণ এই পটিয়া থানার ওসিকে অপসারণ করা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই পটিয়া ব্লকেড চলবে।’

এ ব্যাপারে পুলিশের বক্তব্য জানার চেষ্টা করেও কারো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাঙামাটি জেলা শাখার নেতা দীপঙ্কর তালুকদারকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। কিন্তু পুলিশ তাকে আটকে অপারগতা প্রকাশ করায় বাকবিতন্ডায় জড়ায় পুলিশ ও বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা।

ইএ