রেলের সারি সারি বক্স ওয়াগনে ভারে ভারে ভরা হচ্ছে বালু। দৃশ্যটি অনেকের কাছেই নতুন। তবে যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি এখন রেলপথে পণ্য পরিবহনের চিত্রই যেন বলে দিচ্ছে যমুনা রেলসেতু চালুর পর রেলপথে এসেছে গতি।
শুধু যাত্রী নয়, এখন উত্তরের জেলা পঞ্চগড় থেকে বালুও পরিবহন করা হচ্ছে রেলপথে। ৩০টি ওয়াগনে শ্রমিকদের মাধ্যমে বালুভর্তি করে পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
সড়ক পথে ট্রাকের স্বল্পতা, ভাড়ার চওড়া দরসহ নানা কারণে বালু পরিবহনে রেলপথকেই বেছে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এতে একসাথে যেমন ৩৫ থেকে ৪০ হাজার ঘনফুট বালু একসাথে পরিবহন করা যাচ্ছে তেমনি কমছে খরচও।
সড়ক পথে পঞ্চগড় থেকে ট্রাক প্রতি এক হাজার ঘনফুট বালু রাজশাহীতে পরিবহনে খরচ হয় ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু রেলপথে তা পরিবহনে খরচ হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। অন্যদিকে রেলপথে বালু পরিবহন হওয়ায় কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে শতাধিক শ্রমিকের।
রেলপথে পণ্য পরিবহন উত্তরের ব্যবসা বাণিজ্যকে আরো সহজ করবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
পঞ্চগড় রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘আশা করা যায়, অন্যান্য যারা ব্যবসায়ী আছে, তারাও মালামাল পরিবহনের প্রধান মাধ্যম হিসেবে বাংলাদেশ রেলওয়েকে বেছে নেবেন এবং এতে পূর্বের তুলনায় এখান থেকে রাজস্ব আয় আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আমি মনে করি।’
দেশের নির্মাণ শিল্পের বিরাট অঙ্কের বালুর জোগান দেয় পঞ্চগড়। নদী থেকে বালু তুলে নিয়ে যাওয়া হয় রেলস্টেশনের নির্ধারিত পয়েন্টে। সেখান থেকে ওয়াগন ভর্তি করে ট্রেন ছোটে দূর-বহুদূরে। এভাবে দিন দিন পণ্য পরিবহনে রেল হয়ে উঠছে জনপ্রিয় মাধ্যম হিসেবে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি বাড়ার সাথে আয় বাড়বে রেলেও।