অভিযান সূত্রে জানা গেছে, মসজিদ রোড এলাকায় অর্পিত সম্পত্তির ২৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ ভূমি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিসহ স্থানীয়দের বন্দোবস্ত দেয় জেলা প্রশাসন। বন্দোবস্ত দেয়া ভূমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলমান মামলায় হেরে যায় জেলা প্রশাসন।
উচ্চ আদালত প্রকৃত মালিকদের ভূমি বুঝিয়ে দিতে নির্দেশনা দেন। এর প্রেক্ষিতে বুধবার দুপুরে উচ্ছেদ অভিযান চালাতে যান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা। লীলাময় ভট্টাচার্য নামে এক ব্যক্তি ২০১২ সালের জুলাই মাসে জায়গাটির মালিকানা দাবি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
জেলা প্রশাসনের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। জায়গাটি অর্পিত সম্পত্তি হওয়ায় ২০১৬ সালে লীলাময় ভট্টাচার্যের পক্ষে রায় দেন। পরবর্তীতে সরকার পক্ষ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে উচ্চ আদালতে রিভিউ দায়ের করেন। পরে মামলার বাদী রিভিউর বিরুদ্ধে একটি আবেদন করেন। উচ্চ আদালত ২০১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পূর্বের রায় বাস্তবায়নের জন্য এক আদেশ দেন।
তবে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, চেম্বার ভবনে থাকা দোকান মালিকদের উচ্ছেদের কোনো নোটিশ দেয়া হয়নি। চেম্বার কর্তৃপক্ষও কিছু বলেনি। ফলে বৃষ্টির দিন মালামাল সরাতে গিয়ে ভোগান্তির পাশাপাশি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে দাবি করেন তারা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাবীন জানান, আদালতের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে চেম্বারসহ দুটি স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।