'হত্যাকারীদের বহিষ্কারের আগে যে নেতারা তাদের দলে ঢুকিয়েছেন, তাদের বহিষ্কার করা উচিত'

হাবিব উন নবী খান সোহেল
হাবিব উন নবী খান সোহেল | ছবি: সংগৃহীত
0

বিএনপির নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেছেন, আমরা কি ভাষায় এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাবো জানি না। মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে নৃশংসভাবে ব্যবসায়ী সোহাগকে হত্যার ঘটনা জড়িতদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। সেই সাথে যেই নেতারা তাদেরকে দলের ঢুকিয়েছেন এই হত্যাকারীদের বহিষ্কার করার আগে আপনাদের বহিষ্কার করা উচিত। তিনি বলেন, 'আমরা এই ঘটনার বিচার চাই। এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের মৃত্যুদণ্ড চাই।' আজ (শনিবার, ১২ জুলাই) দুপুরে নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'বেশ কিছু ঘটনায় এখন অনেকেই বিএনপির দিকে আঙুল তুলছেন। জামায়াতে ইসলামীও আঙুল তুলছেন। জামায়াতে ইসলামের আমির কয়েকদিন আগে বলেছেন ৪৭ থেকে এখন পর্যন্ত জামাতের কার্যক্রমে কেউ যদি কষ্ট পেয়ে থাকে তার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। ৪৭ থেকে এখন পর্যন্ত কেন একাত্তর বলতে কি তাদের লজ্জা লাগে। একাত্তরের কথা বলতে পারেন না। আমরা মনে করি নির্বাচনের আগে প্রত্যেকটা ভোটারের কাছাকাছি গিয়ে ভোটারের পা ধরে আপনাদের মাফ চাওয়া উচিত।'

হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, 'এই ১৫-১৬ বছরে ২০০৮-১৮ বিএনপির নির্বাচনে যেতে বাধ্য হয়েছে জেলে থাকার পরেও। কারণ জামায়াতে ইসলাম আমাদের বারবার বলেছে যদি আপনারা নির্বাচনের না যান আমরা কিন্তু যাব। তখন নির্বাচনের পরিবেশ ছিল এখন নাই। আমরা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কে বলবো একটা কথা মনে রাখবেন এরা কিন্তু ভোটে বিশ্বাস করেন না। এরা বিপদে পড়লে ঘটে যায়। এরা বিশ্বাস করে খুলনায় দেখেছেন না যুবদলের নেতার রগ কেটে দিয়েছে। এরা রগ কাটা বিশ্বাস করে ভোটে বিশ্বাস করে না। সুতরাং নির্বাচন কমিশন যদি জামাতের উপর সম্পূর্ণ নির্ভর করেন তাহলে কিন্তু কিয়ামত পর্যন্ত বাংলাদেশে ভোট হবে না।'

এদিকে দীর্ঘ ১১ বছর পর কলমাকান্দা উপজেলা বিএনপির সম্মেলন সকাল থেকেই অডিটোরিয়াম কেন্দ্রে আসতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। বেলা বারোটার পর জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা।

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ারুল হক।

সেজু