স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। মমেনা আব্দুল হাইয়ের দ্বিতীয় স্ত্রী। মঙ্গলবার রাতে তারা খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। রাতের কোনো এক সময় মমেনাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হতে পারে। এরপর আব্দুল হাই ঘরের ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
বুধবার সকালে তারা ঘুম থেকে উঠতে দেরি হওয়া প্রতিবেশীরা অনেক ডাকাডাকি করে। ঘুম থেকে না ওঠায় জানালা দিয়ে তাকালে দেখা যায় আব্দুল হাই ঝুলছেন। পরে তারা পুলিশকে খবর দেন।
পোরশা থানা ওসি (তদন্ত) শাহ আলম সরদার বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে রাতে আব্দুল হাই শ্বাসরোধ করে স্ত্রী ফেলানীকে হত্যা করেছেন। পরে তিনি নিজেও ঘরের ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে তাদের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে থানায় একটি জিডি হয়েছে।’