এর আগে, ভোররাতে ঢাকা থেকে মাসুমার মরদেহ পৌঁছায় গ্রামের বাড়িতে। তাকে এক নজর দেখতে আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসীর ঢল নামে।
আরও পড়ুন:
গতকাল (শনিবার, ২৬ জুলাই) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মৃত্যু হয় মাসুমার। দুর্ঘটনার পর টানা পাঁচ দিন তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
নিহত মাসুমা মাইলস্টোন স্কুলে আয়া হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্বামী মো. সেলিম রাজধানীর একটি বায়িং হাউজে ড্রাইভার হিসেবে কাজ করেন। ঢাকার তুরাগ নয়ানগর শুক্রভাঙ্গা এলাকায় স্বামী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতেন তিনি।
মাসুমার স্বামী সেলিম বলেন, ‘ঘটনার দিন মাসুমা স্কুলে কর্মরত ছিলেন। পরে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি আমার স্ত্রীর শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমার ছোট ছোট দু’টি সন্তান রয়েছে, যাদের মুখের দিকে তাকিয়ে আমি শোকে স্তব্ধ হয়ে যাই। আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলাম বাচ্চাদের জন্য হলেও যেন আল্লাহ আমার স্ত্রীকে ফিরিয়ে দেন। কিন্তু সে আমাকে রেখে চলে গেলো। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’
এদিকে বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হানুর-উজ্জামান জানাজায় অংশগ্রহণ করে বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসন নিহত মাসুমার পরিবারের পাশে আছেন। সব রকম সরকারি সহায়তা তার পরিবারকে দেয়া হবে।’