গতকাল রোববার (৩ আগস্ট) রাতে জারি করা কেন্দ্রটির ব্যবস্থাপকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৬টি গেট ছয় ইঞ্চি করে খুলে দিলে তা থেকে সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন করবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় গেট খোলার পরিমাণ বাড়ানো হতে পারে। এর আগে গত বছর কাপ্তাই হ্রদে পানির উচ্চতা বেড়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে গেল বছরের ২৫ আগস্ট একইভাবে ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেয়া হয়।
বর্তমানে বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ২২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন হচ্ছে। একইসাথে এই পাঁচ ইউনিট দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৩২ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে কর্ণফুলী নদীতে।
আরও পড়ুন:
বর্তমানে কাপ্তাই লেকের পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে লেকের পানি ধারণক্ষমতা ১০৮ ফুট। অর্থাৎ বিপৎসীমা ১০৮ ফুট ধরা হয়। যা এখন ১০৭ ফুটের ওপর অবস্থান করছে। এ পরিস্থিতিতে পানির উচ্চতা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৬টি জলকপাট খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
পিডিবি জানিয়েছে, গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় পানির উচ্চতা ১০৭ ফুটে পৌঁছেছে। লেকে পানি বাড়ার গতি লক্ষ্য করে তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এ বাঁধের গেট খুললে কর্ণফুলী নদী তীরবর্তী চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া ও রাউজানের আশেপাশের অঞ্চলগুলোতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। সেজন্য এ বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক প্রস্তুতি নেয়ার জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পিডিবি।