ডেঙ্গুর হটস্পট বরগুনা: সংক্রমণ বাড়লেই শুরু হয় অভিযান!

বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী
বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী | ছবি: এখন টিভি
0

চলতি বছর বাংলাদেশে ডেঙ্গুর হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত জেলা ছিল বরগুনা। ১৯৩০ সাল থেকে আজকের দিনটি বিশ্ব মশা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। বরগুনা জেলার জন্য এ দিবসটি এসেছে ভীষণ উদ্বেগ নিয়ে। দক্ষিণের জেলা বরগুনায় ডেঙ্গু রোগীর চাপ কিছুটা কমতির দিকে থাকলেও ভবিষ্যতে এডিসের বংশবিস্তার ও ডেঙ্গুর প্রকোপের সম্ভাবনায় উদ্বিগ্ন সচেতন মহল।

১৯৩০ সাল থেকে আজকের দিনটি বিশ্ব মশা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। দিবসটি পালন করা হয় মূলত নোবেলজয়ী চিকিৎসক রোনাল্ড রসের আবিষ্কারকে সম্মান জানানোর জন্য।

এ বছর বাংলাদেশে ডেঙ্গুর হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত বরগুনা জেলার জন্য এ দিবসটি এসেছে ভীষণ উদ্বেগ নিয়ে। বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৬ হাজার। এরইমধ্যে মৃত্যু হয় ৪০ জনের। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সন্তান হারায় তার মাকে, পিতা হারায় তার আদরের সন্তানকে। রোগীর চাপ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খায় হাসপাতালগুলো।

বরগুনা সদর হাসপাতাল কনসালটেন্ট ডা. আশিকুর রহমান আশিক বলেন, ‘আমার এমনও দিন গেছে যেদিন আমি একাই ৩৫০ বারের কাছাকাছি রাউন্ড দিয়েছি। এটি একজন ডাক্তারের জন্য ওভার বার্ডেন।’

ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়লে তড়িঘড়ি করে পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন কার্যক্রমসহ স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়নে নানা উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন, সেচ্ছাসেবী সংগঠন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে অন্যান্য সময় কারো যেন কোনো মাথাব্যথাই থাকে না। বর্তমানে ডেঙ্গু পরিস্থিতি কিছুটা কমলেও আগামী দিনে ডেঙ্গু মোকাবিলা নিয়ে উদ্বিগ্ন সচেতন মহল।

আরও পড়ুন:

সচেতন মহলেরা জানান, ডেঙ্গু বিষয়ে প্রয়োজন সরকারের উদ্যোগ। সরকারের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিতে হবে ডেঙ্গুর স্থায়ী সমাধান পেতে হলে।

স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের মতে, এডিস মশার বংশবিস্তার ঠেকানো এখনো একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তাই এ বছরের ডেঙ্গু অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নানা পদক্ষেপ নেয়ার কথা কথা জানান কর্মকর্তারা।

বরগুনা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ বলেন, ‘আইসিইউ এ আমাদের অবকাঠামো হয়ে গেছে। পাশাপাশি চাহিদা অনুযায়ী যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে। লোকবল এবং যন্ত্রপাতি আসলে আমরা আইসিইউ চালু করবো। আমাদের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট যে হাসপাতাল আছে এর লোকবল পূরণে কাজ করবো।’

বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘আমাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে মশক নিধন স্প্রে কেনা আছে। আমরা নিয়মিত তা স্প্রে করবো। পানি যেন কোথাও জমে না থাকে তার ব্যবস্থা করবো। সুইস গেট আছে যেখানে পানি জমে থাকে, সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে চিঠি দিয়েছি।’

আগস্টে বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেপ্টেম্বরে দেশজুড়ে বাড়তে পারে আক্রান্তের সংখ্যা।

এফএস