নারায়ণগঞ্জে ড্রেন নির্মাণে ধীরগতি; ভোগান্তি-স্বাস্থ্যঝুঁকিতে নগরবাসী

রাস্তা দখল করে রাখা হয়েছে ইট, বালু
রাস্তা দখল করে রাখা হয়েছে ইট, বালু | ছবি: এখন টিভি
3

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে চলছে গভীর ড্রেন নির্মাণ কাজ। চলমান এই কাজের ধীরগতিতে ভোগান্তিতে নগরবাসী। খোঁড়াখুঁড়ি করা ড্রেনের মাটি তুলে রাখা হয়েছে সড়কের ওপরেই, যা এখন ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে। এতে চলাচলে বাধা সৃষ্টির পাশাপাশি বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকিও।

জলাবদ্ধতা নিরসনে ২০২৪ সালের জুন ও আগস্টে নারায়ণগঞ্জে বিবি রোডের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে শুরু হয় গভীর ড্রেন নির্মাণ কাজ। যেটি শেষ হওয়ার কথা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে। তবে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় মেয়াদ বাড়ানো হয় আরও ৪ মাস।

নগরীর মাত্র ৭ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণে দীর্ঘ সময় লাগায় বেড়েছে ভোগান্তি। এছাড়া সড়কের ওপর নির্মাণ সামগ্রী রাখায় অনেকাংশ ব্যবহার করা যাচ্ছে না। যাতে যানজট, ধুলাবালি আর বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নগরবাসী।

পথচারীরা জানান, অতিরিক্ত ধুলা উড়িয়ে কাজ করার কারণে পথচারীদের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। অনেকের শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছে। আড়াই কিলোমিটারের রাস্তা যেতে ১ ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে বলে অভিযোগ পথচারীদের।

আরও পড়ুন:

নগরীর মূল সড়কে ড্রেন নির্মাণ করায় পুরোপুরি সড়ক বন্ধ করে কাজ করা সম্ভব হচ্ছেনা জন্য নির্মাণ কাজে ধীরগতি তৈরি হয়েছে বলছে সিটি করপোরেশন প্রকৌশল বিভাগ। আর ভোগান্তি লাঘবে দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করার আশ্বাস সিটি করপোরেশন।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আজগর হেসেন বলেন, ‘রেললাইনের পশ্চিম পাশের পানি কালিনী খাল দিয়ে প্রবাহিত হতো। আর পূর্ব পাশের পানিটা শীতলক্ষ্যা নদী দিয়ে। অবৈধ দখলের কারণে পানিটা এদিক দিয়ে যাচ্ছে না। এ কারণে আমরা ধলেশ্বরীতে না নিয়ে শীতলক্ষ্যায় নিয়ে এসেছি। এ কারণে ড্রেনটা এদিক দিয়ে হচ্ছে।’

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী মো. নূর কুতুবুল আলম বলেন, ‘জনগণের ভোগান্তির বিষয়টা আমরা আশা করছি এ ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করতে পারবো। বাকি অংশের কাজটা আমরা নির্ধারিত সময়ের ভেতরেই শেষ করতে পারবো।’

ধুলাবালিতে সৃষ্টি হয়েছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। যাতে বাড়ছে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ। এ অবস্থায় ধুলাবালির মাত্রা কমাতে পানি ছিটানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মুশিউর রহমান বলেন, ‘ধুলাবালির কারণে কিন্তু শ্বাসতন্ত্রের প্রবাহ, ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। যারা ক্রনিক রোগী আছে, দেখা যায় সাধারণ অ্যাজমা আছে এ সময় কিন্তু তাদের এ প্রকোপটা বেড়ে যায়। যেখানে প্রচুর গাড়ি চলাচল করে সেখানে পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করলে ধুলাবালি কম উড়বে।’

ভোগান্তি কমাতে দ্রুত কাজ শেষ করার পাশাপাশি নির্মাণস্থলে সঠিক ব্যবস্থাপনার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।

ইএ