মৌলভীবাজারে বিএসএফের গুলিতে এক বছরে নিহত ৫ বাংলাদেশি

মৌলভীবাজারের বর্ডার ও বিএসএফের গুলিতে নিহত এক ব্যক্তিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে | ছবি: এখন টিভি
1

এক বছরের কিছু বেশি সময়ের মধ্যে মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে পাঁচ বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। সিলেট বিভাগে একই সময়ে মোট ৯ জন নিহত হওয়ার তথ্য দিয়েছে বিজিবি।

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি হত্যা যেন নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে, যে কোনো অজুহাতে সীমানার ওপার থেকে আসা গুলি কেড়ে নিতে পারে সীমান্ত এলাকার মানুষের প্রাণ। বিজিবির পক্ষ থেকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হলেও থামছে না সীমান্ত হত্যা।

সবশেষ ৪ ডিসেম্বর নিহত হয়েছেন ২৫ বছর বয়সী শুকরাম উরাং। মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার মুরইছড়া সীমান্তের নতুন বস্তি এলাকায় গরু চরাতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারান তিনি।

স্থানীয়রা জানান, তারা মুরইছড়া এলাকার মানুষ আতঙ্কের মধ্যে আছেন। তাদের অনেক মানুষ বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন:

গেল একবছরে একই সীমান্তে নবম শ্রেণির ছাত্র সাদ্দাম মিয়া, আহাদ আলীসহ প্রাণ হারান তিন বাংলাদেশি। এছাড়া স্থানীয় ছিদ্দিক আলীর পায়ে গুলি লাগে এবং আহত হওয়ায় তৈমুছ মিয়া নামে আরেকজনের হাত কেটে ফেলতে হয়। ২০২৪ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর দত্তগ্রাম সীমান্তে স্কুলছাত্রী স্বর্ণা দাস এবং ২০২৫ সালের ৩১ মে একই সীমান্তে প্রদীপ বৈদ্য নিহত হন।

এছাড়া সিলেটের কানাইঘাট সীমান্তে আব্দুর রহমান, সুনামগঞ্জের মাছিমপুরে সাইদুল ইসলাম ও বাগানবাড়িতে শফিকুল ইসলাম এবং হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে জহুর আলী বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারান।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘মুরইছড়া সীমান্তের কাছে তার বাড়ি। তিনি গরুকে ঘাস খাওয়াতে ইন্ডিয়ার সীমান্তে চলে যায়। বিএসএফ তাকে গুলি করে। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়।’

কিছুদিন পরপরই সিলেট-মৌলভীবাজার সীমান্ত বিএসএফের গুলির কারণে আতঙ্কে থাকেন সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ। তাদের দাবি- দ্রুত সীমান্ত হত্যা বন্ধে স্থায়ী পদক্ষেপের।

এফএস