ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩০ বছর আগে স্বামী মোসলেম সরদার মারা যাওয়ার পর কামরুন নাহার ওই ঘরটিতে একাই বসবাস করতেন। শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে শীতকালে তিনি প্রায়ই ঘরের ভেতরে মাটির মালসায় আগুন জ্বালিয়ে রাখতেন। ধারণা করা হচ্ছে, শনিবার ভোররাতে ওই আগুন থেকেই ঘরের ভেতরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় ঘর থেকে বের হওয়ার সুযোগ পাননি কামরুন নাহার। পরে আগুন নেভানোর পর ঘরের ভেতর থেকে তার দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অগ্নিকাণ্ডে ঘরের আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় মালামাল সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক শংকর চন্দ্রের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ততক্ষণে সব শেষ হয়ে যায়। ঘটনার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। প্রতিবেশীরা জানান, নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করা এ বৃদ্ধা ছিলেন শান্ত ও নিরীহ প্রকৃতির।
এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলা হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের সুনির্দিষ্ট কারণ জানতে তদন্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় সহায়তার বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে।
শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক শংকর চন্দ্র বলেন, ‘রুদ্রুকর ইউনিয়নে আগুনের খবর পেয়ে আমরা ছুটে যাই। ঘরে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছিল। দেড় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ঘরে বিদ্যুতের সংযোগ ছিল না। বৃদ্ধা ওই নারী কয়েল অথবা আগুনের তাপ নেয়ার ব্যবস্থা নিয়েছিলেন, সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর ঘরের ভেতর থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।’





